Posts

Showing posts from November, 2020

ছবি অঙ্কনকারী বা চিত্র শিল্পীদের পরিণাম সম্পর্কে বোখারি ও মুসলিম হাদিসের বানী; ইসলামি জিজ্ঞাসা

Image
  ছবি অঙ্কনকারী বা চিত্র শিল্পীদের পরিণাম সম্পর্কে বোখারি ও মুসলিম থেকে কয়েকটি হাদীস তুলে ধরছি   *** আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত , রাসূল (সাঃ) এরশাদ করেছেন, ‘‘আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তার চেয়ে বড় জালেম আর কে হতে পারে, যে ব্যক্তি আমার সৃষ্টির মতো সৃষ্টি করতে চায়। তাদের শক্তি থাকলে তারা একটা অনু সৃষ্টি করুক অথবা একটি খাদ্যের দানা সৃষ্টি করুক অথবা একটি গমের দানা তৈরী করুক।’’ (বুখারি,মুসলিম) ***আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা) বলেছেন, ‘‘কেয়ামতের দিন সবচেয়ে শাস্তি পাবে তারাই যারা আল্লাহ তাআলার সৃষ্টির মতো ছবি বা চিত্র অঙ্কন করে।’’  (বুখারি,মুসলিম) *** ইবনে আববাস রা. থেকে বর্ণিত , তিনি বলেন, আমি রাসূল (সাঃ) কে বলতে শুনেছি, ‘‘প্রত্যেক চিত্র অঙ্কনকারীই জাহান্নামী। চিত্রকর যতটি [প্রাণীর] চিত্র এঁকেছে ততটি প্রাণ তাকে দেয়া হবে। এর মাধ্যমে তাকে জাহান্নামে শাস্তি দেয়া হবে।’’  (মুসলিম) *** ইবনে আববাস রা. থেকে বর্ণিত, ‘‘যে ব্যক্তি দুনিয়াতে কোন [প্রাণীর] চিত্র অঙ্কন করবে, কিয়ামতের দিন তাকে ঐ চিত্রে আত্মা দেয়ার জন্য বাধ্য করা হবে। অথচ সে আত্মা দিতে সক্ষম হবে না।’’ (বুখারি ও মুসলিম) *** ...

ভাস্কর্য নিয়ে কিছু কথা ও বিশ্লেষণ, মাসিক আল কাউসার; ইসলামি জিজ্ঞাসা

Image
 "মাসিক আল কাউসার" পত্রিকা থেকে ভাষ্কর্য সম্পর্কে যুগোপযোগী গুরুত্ব পোর্ণ একটি রচনা সবাইকে পড়ার অনুরোধ রইল। বর্ষ: ০৪,   সংখ্যা: ১২ যিলকদ ১৪২৯   ||   নভেম্বর ২০০৮ ইসলামের দৃষ্টিতে মূর্তি ও ভাস্কর্য মাওলানা মুহাম্মাদ যাকারিয়া আব্দুল্লাহ কোনো প্রাণীর-মূর্তি নির্মাণ করা ইসলামী শরীয়তে কঠিন কবীরা গুনাহ ও হারাম । মূর্তি সংগ্রহ, মূর্তি সংরক্ষণ এবং মূর্তির বেচাকেনা ইত্যাদি সকল বিষয় কঠিনভাবে নিষিদ্ধ। মূর্তিপূজার কথা তো বলাই বাহুল্য, মূর্তি নির্মাণেরও কিছু কিছু পর্যায় এমন রয়েছে যা কুফরী। কেউ কেউ মূর্তি ও ভাস্কর্যের মধ্যে বিধানগত পার্থক্য দেখাতে চান। এটা চরম ভুল। ইসলামের দৃষ্টিতে মূর্তি ও ভাস্কর্য দুটোই  পরিত্যাজ্য। কুরআন মজীদ ও হাদীস শরীফে এ প্রসঙ্গে যে শব্দগুলো ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলো মূর্তি ও ভাস্কর্য দুটোকেই নির্দেশ করে। এ প্রসঙ্গে কুরআন মজীদের স্পষ্ট নির্দেশ- فَاجْتَنِبُوا الرِّجْسَ مِنَ الْاَوْثَانِ وَ اجْتَنِبُوْا قَوْلَ الزُّوْرِۙ۝۳۰ ‘তোমরা পরিহার কর অপবিত্র বস্ত্ত অর্থাৎ মূর্তিসমূহ এবং পরিহার কর মিথ্যাকথন।’ -সূরা হজ্জ : ৩০ এই আয়াতে পরিস্কারভাবে ...

ভাস্কর্য নির্মাণ বৈধ কি না? এই সম্পর্কে কুরআনের আয়াত ও তার ব্যাখ্যা - ইসলামি জিজ্ঞাসা

Image
••• ভাস্কর্য নির্মাণ বৈধ কিনা তাঁর একটি চূড়ান্ত সমাধান ••• *** ভাস্কর্য নির্মাণের পক্ষের লোকেরা সূরা সাবা’র একটি আয়াত পেশ করত: এটাকে হালাল ও বৈধ ফতওয়া দেয়ার একটি চরম অপব্যাখ্যা করেছেন । এটা তাঁদের অজ্ঞতা, জাহালাত ও ইল্মি দৈন্যতা প্রমাণ করে । আর তাই অনিবার্য প্রয়োজনে জাতির সামনে বিষয়টি তুলে ধরতে বাধ্য হলাম । ** আল্লাহপাক বলেছেন  يعملون له ما يشاء من محاريب و تماثيل و جفان كالجواب و قدور راسيات  “ জ্বীনেরা সাইয়্যিদুনা সোলাইমান আ:’র ইচ্ছা অনুযায়ী দূর্গ, ভাস্কর্য , হাউস সদৃশ বৃহৎ আকারের পাত্র এবং চুল্লির উপর স্হাপিত বিশাল আকারের ডেগ নির্মাণ করতো ।” সূরা সাবা ১৩ *** আয়াতের মধ্যে দেখা যাচ্ছে বাহ্যত: ভাস্কর্য নির্মাণ করা বৈধ ! এবার আসুন বিশ্লেষণে যাই ..... *** পবিত্র কুরআনে মূর্তি ও ভাস্কর্য সমার্থবোধক তিনটি শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে । বিগত পোস্টে তা’ উল্লেখ করেছিলাম ।  *** আসনাম ( اصنام ) কাঠ/ স্বর্ণ / রৌপ্য ইত্যাদি দ্বারা নির্মিত মূর্তি । أوثان হলো পাথর দ্বারা তৈরী মূর্তি । তামাছীল ( تماثيل ) তিমছাল শব্দের বহুবচন । প্রাণী / অপ্রাণী উভয় শ্রেণীর ভাস্কর্য বা মূর্তিকে বলা হয় । صنم ...

আসমানী কিতাবের সংখ্যা ও তা নিয়ে কুরআন ও সহীহ হাদিসের আলোকে ব্যাখ্যা - ইসলামি জিজ্ঞাসা

Image
*** সম্মানিত নবী - রসুল আ: ও আসমানী কিতাব সমূহের সংখ্যা নিয়ে ভ্রান্তি নিরসনে এ পোস্টটিতে মনযোগ দিলাম । *** ছোটবেলায় শুনতে পেতাম আল্লাহপাক ২ লাখ ২৪ হাজার কিংবা ১ লাখ ২৪ হাজার নবী- রসুল আ: পাঠিয়েছিলেন এবং কথাটি বিশ্বাস করতাম ! আমাদের কওমী হুজুররাও এ কথাটিই প্রচার করতেন ! এখন প্রশ্ন হলো “ এর সত্যতা কতোটুকু ? “ *** মুসনাদে আহমদ, সিলসিলা ছহীহা ২৬৬৮, ফাতহুল বারী ১০/১০৪, মিশকাত ৫৭৩৭, এ বর্ণিত একটি হাদিসে বলা হয়েছে যে, মহানবী সা: বলেছেন “ আল্লাহপাক ১ লক্ষ ২৪ হাজার নবী- রসুল আ: পাঠিয়েছিলেন । “ এ হাদিসটি সম্পর্কে খ্যাতনামা আলেম শায়খ বিন বায রহ: বলেছেন “ এ হাদিসটি অত্যন্ত দূর্বল এবং অগ্রহণযোগ্য ।” *** সম্মানিত শায়খ বিন বায রহ:’র মতের সংগে আমি শতভাগ একমত পোষণ করছি । কারণ পবিত্র কুরআন তাই বলেছে । আল্লাহপাক বলেন و رسلا قد قصصنهم عليك من قبل و رسلا لم نقصهم عليك “ হে নবী মুহাম্মদ সা: ! আমি ইতিপূর্বে কিছু রসুলদের আ: ব্যাপারে আপনাকে অবহিত করেছিলাম এবং কিছু রসুলদের আ: সম্পর্কে আপনাকে কিছুই জানাইনি ।” সূরা আন নিসা ১৬৪ এ আয়াত থেকে বুঝা গেলো যে, সকল নবী/ রসুলদের আ: ব্যাপারে মহানবী সা: জানতেন না এবং তাঁকেও...

ফিক্বহী মাস‘আলায় মতানৈক্য অথবা বিরোধপূর্ণ বিষয়ে আমাদের করণীয়- সালেহ আল ফাউযান

Image
 *** ফিক্বহী মাস‘আলায় মতানৈক্য অথবা বিরোধপূর্ণ বিষয়ে আমাদের করণীয় ***  জবাব হলো,  মতভেদ দু’প্রকার: প্রথমত: দীনি বিষয়ে মতভেদ। যেমন ইবাদত ও আক্বীদায় মতানৈক্য। এধরণের মতানৈক্য নিকৃষ্ট ও হারাম। কেননা দীনে (ইবাদত ও আক্বীদায়) ইজতিহাদ করার কোন অবকাশ নেই, রায় বা সিদ্ধান্ত দেয়ারও কোন সুযোগ নেই। বরং দীন ও আক্বীদা পরিপূর্ণ। এ বিষয়ে ইজতিহাদ (গবেষণা) করার কোন বিধান নেই। আল্লাহ তা‘আলা দীন ও আক্বীদা হিসাবে যা কিছু আমাদের জন্য বিধিবদ্ধ করেছেন, রায় ও ইজতিহাদ ছাড়াই তা আঁকড়ে ধরা আমাদের উপর ওয়াজীব-আবশ্যক। আর ইবাদতও পরিপূর্ণ। যে বিষয়ে দলীল রয়েছে তা আমাদেরকে জানতে হবে। আর যে বিষয়ে দলীল পাওয়া যায় না তা বিদ‘আত বলে গণ্য, যা অবশ্যই পরিত্যাজ্য। যেমন হাদীসে বর্ণিত আছে, من أحدث في أمرنا هذا ما ليس منه فهو رد যে আমাদের দীনে এমন নতুন কিছু আবিষ্কার করলো যা দীন নয় তা প্রত্যাখ্যাত।[ ছ্বহীহ মুসলিম হা/১৭১৮।]  অন্য হাদীসে এসেছে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, وإياكم ومحدثات الأمور، فإن كل محدثة بدعة، وكل بدعة ضلالة، وكل ضلالة في النار তোমরা নতুন কিছু আবিষ্কার করা হতে বিরত থাক। কেননা প্রত্যেক ...

সাপ সম্পর্কে ইসলামের বর্ননা ও বিভিন্ন কথা- ইসলামি জিজ্ঞাসা

Image
••• “ সাপ “ সম্পর্কে জানুন ! ••• *** মহান আল্লাহর ভয়ানক সৃষ্টির মধ্যে “ সাপ” প্রাণীটি অন্যতম । পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় তাঁর অবদান থাকতে পারে ! সাধারণভাবে মানুষ এ প্রাণীটিকে ভয় পায় ! আমি নিজেও ব্যক্তিগতভাবে ভয় পাই । *** পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহ Study করে এ প্রাণীটি সম্পর্কে অধিকাংশই নেগেটিভ পেয়েছি । অর্থাৎ নেগেটিভ স্হানে তাকে ব্যবহার করা হয়েছে । পবিত্র কুরআনে স্হান পাওয়া প্রাণীদের মধ্যে “ অজগর সাপের “ কথা বহুবার উল্লেখিত হয়েছে । *** সাইয়্যিদুনা মুসা আ: ফেরআউনের যাদুকরদের মোকাবিলায় আল্লাহর নির্দেশে হাতের লাঠি মাটিতে নিক্ষেপ করা মাত্রই তা’ স্পস্ট ভয়ংকর অজগর সাপে রূপান্তরিত হয় । পবিত্র কুরআনের ভাষায় فالقي عصاه فإذا هي ثعبان مبين “ অত:পর সাইয়্যিদুনা মুসা আ: যখন তাঁর লাঠিটি নিক্ষেপ করলেন, সুস্পস্ট অজগর সাপে পরিণত হয় ।” সূরা আল আ’রাফ ১০৭ *** সাপটি এতোটা ভয়ংকর ছিলো যে, সাইয়্যিদুনা মুসা আ: নিজেও সাপের পেছন দিক থেকে পালাতে লাগলেন ! এমতাবস্হায় আল্লাহপাক ডাক দিলেন “ হে মুসা ! আপনি ভয় পাবেন না । সামনে অগ্রসর হোন ।” পবিত্র কুরআনের ভাষায় .... و ان الق عصاك فلما راءها تهتز كأنها جان ولي مدبرا و لم...

মুমিনদের সাহায্যকারী আল্লাহ,এবং তারা আল্লাহর উপরই ভরসা করুক- আসলাম শেখ টনি

Image
***মুমিনদেরকে বিজয়ী করার দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহর*** আল্লাহ তাআলা বলেন, (وَكَانَ حَقًّا عَلَيْنَا نَصْرُ الْمُؤْمِنِينَ) অর্থাৎ, মুমিনদের সাহায্য করা আমার দায়িত্ব। (সূরা রুম ৪৭ আয়াত) উক্ত আয়াতে কারীমায় এ কথাই ব্যক্ত হয়েছে যে, আল্লাহ মুমেনদেরকে সাহায্য ও বিজয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তা এমন এক প্রতিশ্রুতি যার অন্যথা হবে না। সুতরাং তিনি তার রসূল (সা.)-কে বদর, খন্দক প্রভৃতি যুদ্ধে বিজয়ী করেছেন এবং তাঁর পর তাঁর সাহাবার্গকে তিনি তাদের শত্রুদের উপর বিজয়ী করেছেন। যার ফলে ইসলাম প্রসার লাভ করেছে, বহু দেশ জয় হয়েছে এবং বিভিন্নমুখী অঘটন ও বিপদ সত্ত্বেও মুসলিমগণ জয়ী হয়েছেন। শেষে শুভপরিণাম হয়েছে সেই মুমিনদের যারা তাদের আল্লাহর প্রতি ঈমান, তার তওহীদ, ইবাদত এবং বিপদে ও সুখে তাদের প্রতিপালকের নিকট প্রার্থনাতে সত্যবাদিতার পরিচয় দিয়েছেন। কুরআন মাজীদ বদর যুদ্ধে মুমিনদের অবস্থা বর্ণনা করেছে, যখন তাঁদের সংখ্যা ও যুদ্ধ-সরঞ্জাম নিতান্ত নগণ্য ছিল। তাই তারা তাদের প্রভুর নিকট প্রার্থনা জানিয়েছিলেন। আল্লাহ বলেন, إِذْ تَسْتَغِيثُونَ رَبَّكُمْ فَاسْتَجَابَ لَكُمْ أَنِّي مُمِدُّكُم بِأَلْفٍ مِّنَ الْم...

বেগানা নারী পুরুষ ও ইসলামের দৃষ্টিতে আলোচনা-১। সংকলন আসলাম শেখ

Image
পৃষ্ঠা ১             ♡♡বেগানা  নারী-পুরুষের♡♡ বেগানা  নারী-পুরুষের কোন নির্জন স্থানে একাকী বাস, কিছু ক্ষণের জন্যও লোক-চক্ষুর অন্তরালে, ঘরের ভিতরে, পর্দার আড়ালে একান্তে অবস্থান শরীয়তে হারাম। যেহেতু তা ব্যভিচার না হলেও ব্যভিচারের নিকটবর্তী করে, ব্যভিচারের ভূমিকা অবতারণায় সহায়িকা হয়।  ♡♡ রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি  সালাম বলেছেন:-  ‘‘কোন পুরুষ যেন কোন নারীর সাথে একান্তে গোপনে অবস্থান না করে। কারণ, শয়তান উভয়ের কুটনী হয়।’’ [তিরমিযী, মিশকাতুল মাসাবীহ হাদিস নং :- ৩১১৮ ] এ ব্যাপারে সমাজে অধিক শৈথিল্য পরিলক্ষিত হয় দেওর-ভাবী ও শালী-বুনাই-এর ক্ষেত্রে। অথচ এদের মাঝেই বিপর্যয় ঘটে অধিক। কারণ ‘পর চোরকে পার আছে, ঘর চোরকে পার নাই।’  ♡♡ রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি সালাম বলেছেন: -  মহিলাদের পক্ষে  তাদের দেওরকে মৃত্যুর সাথে তুলনা করেছেন।’’ [সহি বুখারি,সহি মুসলিম, মিশকাতুল মাসাবীহ হাদিস নং :- ৩১০২ ] অতএব দেওরের সাথে মায়ের বাড়ি, ডাক্তারখানা, অনুরূপ বুনাই-এর সাথে বোনের বাড়ি, ডাক্তারখানা বা কোন বিলাস-বিহারে যাওয়া-আসা এক মার...

বেগানা নারী পুরুষ ও ইসলামের দৃষ্টিতে আলোচনা-৩। সংকলন আসলাম শেখ

Image
পৃষ্ঠা ৩ ♡♡বেগানা নারী-পুরুষের♡♡ ♡♡ সাহাবী (রাঃ) বলেন, ‘‘ রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি সালাম আমাদেরকে নিষেধ করেছেন যে, আমরা যেন মহিলাদের নিকট তাদের স্বামীদের বিনা অনুমতিতে গমন না করি।’’ [সহীহ তিরযিমী হাদিস নং: - ২২৩০] ☆☆☆ অনুরূপ কোন প্রকার সেন্ট বা পারফিউমড্ ক্রিম অথবা পাওডার ব্যবহার করে বাইরে পুরুষদের সম্মুখে (পর্দার সাথে হলেও) যাওয়া ব্যভিচারের নিকটবর্তী হওয়ার এক ভূমিকা। যেহেতু যুবকের প্রবৃত্তি এই যে, মহিলার নিকট হতে সুগন্ধ পেলে তার যৌন-চেতনা উত্তেজনায় পরিণত হয়। ♡♡ রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি সালাম বলেন:- كُلُّ عَيْنٍ زَانِيَةٌ وَالْمَرْأَةُ إِذَا اسْتَعْطَرَتْ فَمَرَّتْ بِالْمَجْلِسِ فَهِيَ كَذَا وَكَذَا يَعْنِي زَانِيَةً ‘‘প্রত্যেক চক্ষুই ব্যভিচারী। আর রমণী যদি সুগন্ধি ব্যবহার করে কোন (পুরুষের) মজলিসের পাশ দিয়ে পার হয়ে যায় তাহলে সে এক বেশ্যা।’’ [সহীহ তিরযিমী ] ☆☆☆ ☆☆☆ এমন কি এই অবস্থায় নামাযের জন্য যেতেও নিষিদ্ধ। [সহীহ আল -জা-মিউস সাগীর অযিয়াদাতুহ ] ♡♡ রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি সালাম আরোও বলেছেন :- أَيُّمَا امْرَأَة تَطَيَّبَت ثُمَّ خ...

ওয়াজের নামে কেচ্ছা-গিবত! সব বক্তার ওয়াজ শুনা যাবেকি? - Habibur Rahman

Image
সব বক্তার বয়ান শোনা যাবে কি না? এসব নিয়ে আলোচনা এবং সত্য প্রকাশ Habibur Rahman  *** যুগ যুগ ধরে মিথ্যা, বানোয়াট , অসত্য , গল্প / কাহিনী , মনগড়া , কিস্সা, শরিয়ত বিরোধী কারামত বর্ণনা ও পীরতন্ত্রবাদী বয়ান শুনতে শুনতে জাতি আজ বড়ই ক্লান্ত হয়ে পড়েছে ! *** পবিত্র কুরআন ও হাদিসের মনগড়া তাফসীর, ব্যাখ্যা ও মিথ্যা আবেগ ছড়ানো হয়েছে এ প্রান্ত থেকে সে প্রান্ত পর্যন্ত ! *** ধর্মীয় মাহফিলের নামে বসানো হয়েছে গানের আসর ! বিনোদন ! হাস্যকর নাট্যমঞ্চ ! এ যেনো বিসমিল্লাহ বলে মদের বোতল থেকে মদ পান করা ! ইসলাম ধর্মকে একটি তামাশায় রূপান্তরিত করার অপচেষ্টা চলছে অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় ! বুঝে/ না বুঝে জাহালাত ও অজ্ঞতায় পরিপূর্ণ করে দেয়া হলো পুরো সমাজ ! একটি বিরাট সংখ্যার উম্মত অন্ধ / ধর্মান্ধ হয়ে এদের পেছনে ছুটছে ! এদেরকে অনুসরণ করে চলেছে ! এদের ভন্ডামিগুলোকে দ্বীন/ ধর্ম বলে বিশ্বাস করে নিয়েছে ! *** বড় আফসোস লাগে । তবুও থেমে থাকা যাবেনা । সাধ্যানুযায়ী সত্য- মিথ্যা জাতির সামনে তুলে ধরতে হবে । নতুবা পরকালে আমার জন্যেও ভয় আছে । *** সাম্প্রতিক কালের “ করোনা” পজিটিভ থেকে কিছু সময়ের জন্য হলেও ভন্ডামি বয়ানগ...

সালাতের সিজদাহ্ এর সুন্নাত সমূহ কুরআন ও সহীহ হাদিস অনুযায়ী- Tazmul Bin Moynal Hossain

Image
 🛑 সালাতে সিজদায় ১২টি কাজ সুন্নতঃ- ♦ তাকবির বলা অবস্থায় সিজদায় যাওয়া। (বুখারি শরিফ, হাদিস : ৮০৩)♦  রসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন সাজদাহর সময় উটের ন্যায় না বসে এবং সাজদাহকালে যেন মাটিতে হাঁটু রাখার পূর্বে হাত রাখে।[সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৮৪০]তা রপর হাঁটু থেকে আনুমানিক এক হাত দূরে উভয় হাত রাখা এবং হাতের আঙুলগুলো কিবলামুখী করে সম্পূর্ণরূপে মিলিয়ে রাখা। (বুখারি শরিফ, হাদিস : ৮২৮, সহিহ ইবনে খুজায়মা, হাদিস : ৬৪২) ♦ তারপর উভয় বৃদ্ধাঙ্গুলির মাথা বরাবর নাক রাখা। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ১৮৮৯৪) ♦ তারপর কপাল রাখা। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১৮৮৮০) ♦ অতঃপর দুই হাতের মাঝে সিজদা করা ও দৃষ্টি নাকের অগ্রভাগের দিকে রাখা। (মুসলিম, হাদিস : ৪০১) ♦ সিজদায় পেট ঊরু থেকে পৃথক রাখা। (মুসলিম, হাদিস : ৪৯৬, আবু দাউদ, হাদিস : ৭৩৫) ♦ পাঁজরদ্বয় থেকে উভয় বাহু পৃথক রাখবে। (বুখারি, হাদিস : ৮০৭) ♦ কনুই মাটি ও হাঁটু থেকে পৃথক রাখবে। (বুখারি, হাদিস : ৮২২) ♦ সিজদায় কমপক্ষে তিনবার সিজদার তাসবিহ (সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা) পড়া। (আবু দাউদ, হাদিস : ৮৭০) ♦ তাকবির বলা অবস্থায় সিজদা থেকে ওঠা। (বুখারি, হাদিস : ৮২৫)...

প্রশ্ন: দান করার সওয়াব বেশি না কি ঋণ দেয়ার সওয়াব বেশি?- শামিমা বুলবুল

Image
প্রশ্ন: দান করার সওয়াব বেশি না কি ঋণ দেয়ার সওয়াব বেশি? ▬▬▬▬◖◉◗▬▬▬▬ উত্তর: মানুষ সামাজিক জীবন। তাই জীবন চলার পথে মাঝে-মধ্যেই তাদেরকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে একে অপরের মুখাপেক্ষী হতে হয়। কখনো মানুষ দারিদ্র্যতার নির্মম কষাঘাতে বেঁচে থাকার প্রয়োজনে অন্যের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হয়। আবার কখনো হঠাৎ অপ্রত্যাশিত কোনো পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়ে বা জরুরি কারণে কারো কাছে আর্থিকভাবে ঋণ নেয়ার প্রয়োজন হয়। সুতরাং এ কথায় কোন সন্দেহ নাই যে, দান বা আর্থিক সাহায্য-সহযোগিতা, ঋণ প্রদান ইত্যাদি মানব কল্যাণমূলক কাজ। এর মাধ্যমে সমস্যাগ্রস্ত মানুষের সমস্যা দূর করা হয়, বিপদে পতিত ব্যক্তিকে সহযোগিতা করা হয়, কষ্টে নিপতিত মানুষের কষ্ট নিবারণ করা হয়। তাই ইসলামে দান-সদকা বা ঋণ প্রদান উভয়টিকে বিরাট সওয়াব অর্জনের কারণ নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হল, কোনটার সওয়াব বেশি? নিচের হাদিসের আলোকে উত্তর জানবো। আবু উমামা রা. বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, دَخَلَ رَجُلُ الْجَنّةَ فَرَاى عَلى بِابِهَا مَكْتُوْبًا الصَّدَقَةُ بِعَشَرِ اَمْثَالِهَا وَالْقَرَضُ بِثَمَانِيَةَ عَشَرَ “এক ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করে দেখল...

বেগানা নারী পুরুষ ও ইসলামের দৃষ্টিতে আলোচনা-২। সংকলন আসলাম শেখ

Image
পৃষ্ঠা ২ ♡♡বেগানা নারী-পুরুষের♡♡ বৃদ্ধ-বৃদ্ধার আপোসে বা তাদের সাথে যুবতী-যুবকের নির্জনবাস,কোন হিজড়ে বা খাসি করা নারী-পুরুষের আপোষে বা তাদের সাথে যুবক-যুবতীর, একাধিক মহিলার সাথে কোন একটি যুবক অথবা একাধিক পুরুষের সাথে এক মহিলার, কোন সুশ্রী কিশোরের সাথে যুবকের নির্জনবাসও অবৈধ। [মাজাল্লাতুল বহুসিল ইসলামিয়্যাহ ২৮/২৪৫ -২৭০ ] ☆☆ব্যভিচার থেকে সমাজকে দূরে রাখার জন্যই ইসলামে নারী-পুরুষে অবাধ মিলা-মিশা, একই অফিসে, মেসে, ক্লাশরুমে, বিয়ে ও মরা বাড়িতে, হাসপাতালে, বাজারে প্রভৃতি ক্ষেত্রে উভয় জাতির একত্রে জমায়েত অবৈধ। [ইলা রাববাতিল খুদূর পৃ:- ৪১-৪২ ]☆☆ ☆☆ মুসলিম নারীর শিক্ষার অর্থ এই নয় যে, তাকে বড় ডিগ্রী, সুউচ্চ পদ, মোটা টাকার চাকুরী পেতে হবে। তার শিক্ষা জাতিগঠনের জন্য, সমাজ গড়ার জন্য, মুসলিম দেশ ও পরিবেশ গড়ার জন্য যতটুকু দরকার ততটুকু শিখতে পারলেই যথেষ্ট; যদিও তা ঘরে বসেই হয়। তা ছাড়া পৃথক গার্ল্স স্কুল-কলেজ না থাকলে মিশ্র শিক্ষাঙ্গনে মুসলিম নারীর শিক্ষায় ‘জল খেতে গিয়ে ঘটি হারিয়ে যাওয়া’র ঘটনাই অধিক ঘটে থাকে; যে সব শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে শিক্ষিত হওয়া যায় ঠিকই, কিন্তু আদর্শ মুসলিম হওয়া যা...

আল্লাহর বিধান ও ইসলামি শরিয়া ভিক্তিতে রাষ্ট্রযন্ত্র পরিচালনা ও তার শাস্তি- Habibur Rahman

Image
  *** আল্লাহর বিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা না করা *** আল্লাহর বিধানকে যারা নিজেদের জীবন সংবিধান বলে মেনে নেয় না, তাদের মনে মগজে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। সেই কারণ অনুসারে নির্ণীত হবে তাদের মন। যে ধারনা করে যে, ইসলামী বিধান এ যুগে অচল এবং মানব রচিত বিধানই বর্তমান মানব সভ্যতার জন্য অধিক উপযোগী ও উত্তম, এর ফলে সে ইসলামী বিধান উপেক্ষা করে ইসলাম পরিপন্থী আইন প্রণয়ন করে, সে কাফের। যে ধারনা করে যে, ইসলামী বিধানই সর্বযুগের জন্য উত্তম ও উপযোগী। কিন্তু সেচ্ছাচারিতাবসে স্বরচিত আইন প্রয়োগ করে রাষ্ট্র পরিচালনা করে, সে যালেম। আর যে শাসক ধারনা করে যে, ইসলামী বিধানই সর্বযুগের জন্য উত্তম ও উপযোগী। কিন্তু কোন চাপে সে তা প্রয়োগ করতে পারে না অথবা গদি টিকিয়ে রাখার জন্য সে তা প্রয়োগ করতে চায় না, সে ফাসেক। মহান আল্লাহ বলেন,  “ সুতরাং তোমারা মানুষকে ভয় করো না, আমাকেই ভয় কর এবং আমার আয়াত নগণ্য মূল্যে বিক্রয় করো না। আর আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুসারে যারা বিধান দেয় না, তারাই কাফের।’ (মায়িদাহঃ ৪৪) আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুসারে যারা বিধান দেয় না, তারাই অত্যাচারী। (মায়িদাহঃ ৪৪) ইঞ্জিল ওয়ালাদের উ...

জুব্বা, পাঞ্জাবী, গোল জামা, আলখাল্লা, পাগড়ি এগুলো কি সুন্নতি পোশাক?- আসলাম শেখ(সংকলন)

Image
◯ জুব্বা, পাঞ্জাবী, গোল জামা, আলখাল্লা, পাগড়ি এগুলো কি সুন্নতি পোশাক? এগুলো সব আঞ্চলিক পোশাক। এগুলোকে সুন্নতি পোশাক বলা ঠিক নয়। আরব বিশ্বে মুসলিম-খৃষ্টান নির্বিশেষে জুব্বা বা আলখাল্লা পরিধান করত; এখনও পরে। ভারতের পাঞ্জাব এলাকার লোকেরা হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে পাঞ্জাবী পরিধান করে। সেটা পরবর্তীতে আমাদের দেশ সহ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। পাগড়ি আরব সহ আরও কিছু এলাকার আঞ্চলিক কালচার। আবু জাহেলও পাগড়ি পরত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও পরতেন। এটা ছিলে সমাজে প্রচলিত পোশাকের অন্তর্ভুক্ত। তবে ইচ্ছে করলে মুসলিমগণও পাগড়ি পরতে পারে। এতে আলাদা ফযিলত সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত নয়। এ মর্মে কিছু হাদিস বর্ণিত হলেও সেগুলো বানোয়াট, মুনকার ও অগ্রহণযোগ্য পর্যায়ের। অনুরূপভাবে টাইও খৃষ্টানদের ‘ক্রসের চিহ্ন’ এমন কোন কথা ঐতিহাসিকভাবে বা কোন প্রমাণ দ্বারা প্রমাণিত নয়। তাই একজন মুসলিম টাইও পরতে পারে দেশে প্রচলিত পোশাক হিসেবে। ◯ কুরআনে ‘তাকওয়ার পোশাক’ বলতে কী বুঝানো হয়েছে? কুরআনে বর্ণিত, ‘লিবাসুত তাকওয়া’ বা তাকওয়ার পোশাক দ্বারা বাহ্যিক কোন পোশাক উদ্দেশ্য নয় বরং উদ্দেশ্য হল, তাকওয়া অবলম্বন করা, ঈমান ও আমলে...

বিদ'আত ও তার প্রকারভেদ, এবং এ সম্পর্কে কুরআন ও সহীহ হাদিসের আলোকে ব্যাখ্যা- আসলাম শেখ

Image
আবদুল্লাহ্ ইব্‌নু মাস’উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ সর্বোত্তম কালাম হল আল্লাহ্‌র কিতাব, আর সর্বোত্তম পথ নির্দেশনা হল মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর পথ নির্দেশনা। আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিষয় হল নতুনভাবে উদ্ভাবিত পন্থাসমূহ। “তোমাদের কাছে যার ও’য়াদা দেয়া হচ্ছে তা ঘটবেই, তোমরা ব্যর্থ করতে পারবে না” (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৬৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৮১) ফুটনোটঃ [১] বিদআত শব্দের আভিধানিক অর্থ হল : اَلشَّيْءُ الْمُخْتَرَعُ عَلٰى غَيْرِ مِثَالٍ سَابِقٍ অর্থাৎ পূর্ববর্তী কোন নমুনা ছাড়াই নতুন আবিষ্কৃত বিষয়। [আন-নিহায়াহ, পৃঃ ৬৯, কাওয়ায়েদ মা’রিফাতিল বিদআ’হ, পৃঃ ১৭] আর শরীয়তের পরিভাষায়- مَا أُحْدِثَ فِى دِيْنِ اللهِ وَلَيْسَ لَهُ أَصْلٌ عَامٌ وَلاَخَاصٌّ يَدُلُّ عَلَيْهِ. অর্থাৎ আল্লাহর দ্বীনের মধ্যে নতুন করে যার প্রচলন করা হয়েছে এবং এর পক্ষে শরীয়তের কোন ব্যাপক ও সাধারণ কিংবা খাস ও সুনির্দিষ্ট দলীল নেই। [কাওয়ায়েদ মা’রিফাতিল বিদআ’হ, পৃঃ ২৪] এ সংজ্ঞটিতে তিনটি বিষয় লক্ষণীয় : ১. নতুনভাবে প্রচলন অর্থাৎ রাসূল (সাঃ) ও সাহাবায়ে কিরামের যুগে এর কোন প্রচলন ছিল না এবং এর কোন নমুনাও ছিল না। ২. এ নব প্রচলিত বিষ...

সালাম দেয়ার ক্ষেত্রে ভুল সমুহ- মুফতি মুহিউদ্দিন কাসেমী

Image
ইসলাম ডেস্ক: সালাম আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে অনেকেই বিভিন্ন অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল করে থাকেন। একটু সতর্ক হলেই এসব ভুল এড়িয়ে সুন্দরভাবে সালাম আদান-প্রদান করা সম্ভব। কিন্তু আমরা অনেকেই এসব ভুলকে গুরুত্ব দিই না। তবে অনাকাঙ্ক্ষিত এসব ভুলের জন্য সালাম দিয়ে সওয়াব অর্জনের বিপরীতে আমাদের গুনাহ হয়। ফলে সঠিকভাবে সালাম দেওয়ার জন্য ভুলগুলো জেনে তা থেকে আমাদের মুক্ত থাকা উচিত। ১. অশুদ্ধ উচ্চারণে সালাম দেওয়া: এটি মারাত্মক ভুল কাজ। আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ হচ্ছে পূর্ণ সালাম। শুধু আসসালামু আলাইকুম বললেও চলবে। তবে উচ্চারণে ভুল করা যাবে না। ২. ছোটদের প্রতি বড়দের সালাম না দেওয়া: এটিও ভুল প্রচলন। বড় বা বয়স্ক মানুষ ছোটদের সালাম দিতে কোনো বাধা নেই। যেমন- শিক্ষক ছাত্রদের এবং বাবা-মা সন্তানদের সালাম দেবেন। আগে সালামকারী বেশি সওয়াব ও মর্যাদার অধিকারী হয়ে থাকেন। ৩. অপরিচিত কাউকে সালাম না দেওয়া: পরিচিত-অপরিচিত সবাইকে সালাম দেওয়ার নির্দেশ এসেছে। তাই পরিচিত ও মুখ চিনে সালাম দেওয়া গর্হিত ও নিন্দিত কাজ। ৪. সালাম দেওয়ার সময় মাথা ও বুক ঝুঁকে নিচু করা: সালাম দেওয়ার সময় মাথা ও বুক ঝুঁকে নিচু হয়ে সালাম দেওয়া নিষেধ। অনেকে ...

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ফরয সালাত শেষ করে যেই ১৩টি দোয়া জিকির করতেনঃ

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ রাসুলুল্লাহ সাঃ ফরজ সালাতের পরে কি কি দায়ারাসুলুল্লাহ (সাঃ) ফরয সালাত শেষ করে যেই ১৩টি দোয়া ও জিকির করতেন।কুরআন ও সুন্নারহ আলোকে তা নক্ররাসুলুল্লাহ (সাঃ) ফরয সালাত শেষ করে যেই ১৩টি দোয়া জিকির করতেনঃ ____________________ ১. “আসতাগফিরুল্লা-হ” - ৩ বার ।(ﺃَﺳْﺘَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﻠَّﻪ) অর্থঃ হে আল্লাহ!আমি তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। ২. “আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম, তাবা-রাকতা ইয়া যাল-জালা-লী ওয়াল ইকরাম” – ১ বার। ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﺴَّﻼَﻡُ، ﻭَﻣِﻨْﻚَ ﺍﻟﺴَّﻼَﻡُ، ﺗَﺒَﺎﺭَﻛْﺖَ ﻳَﺎ ﺫَﺍ ﺍﻟْﺠَﻼَﻝِ ﻭَﺍﻟْﺈِﻛْﺮَﺍﻡِ অর্থঃ হে আল্লাহ্! তুমি শান্তিময়, তোমার কাছ থেকেই শান্তি অবতীর্ণ হয়। তুমি বরকতময়, হে পরাক্রমশালী ও মর্যাদা প্রদানকারী। সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন “রাসুল (সাঃ) যখন সালাম ফেরাতেন তখন তিনি তিনবার ইস্তেগফার পড়তে্ন অর্থাত ‘আস্তাগফিরুল্লাহ’ বলতেন। তারপর বলতেনঃ “আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম, তাবারাকতা ইয়া যাল-জালা-লী ওয়াল ইকরাম”। -মুসলিম ১/২১৮, আবু দাউদ ১/২২১  ৩. একবার  لاَ إِلهَ إِلاَّ الله وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْك...

Popular posts from this blog

আল্লাহকে ভয় করা সদাসর্বদা সত্য সঠিক কথা বলাও গুনাহ মাফের এক অন্যতম মাধ্যমঃ-Habibur Rahman

জুব্বা, পাঞ্জাবী, গোল জামা, আলখাল্লা, পাগড়ি এগুলো কি সুন্নতি পোশাক?- আসলাম শেখ(সংকলন)

সালাম দেয়া, সালামের গুরুত্ব ও এর প্রসার -Habibur Rahman