- Get link
- X
- Other Apps
- Get link
- X
- Other Apps
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু। প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা। ইসলামের অত্যাবশকীয় বিষয় সম্পর্কে কুরআন ও সহীহ হাদিসের আলোকে এবং তার রেফারেন্সসহ আলোচনা সকল মুসলিম ভাইবোনদের কাছে পৌঁছে দিতে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। আপনার একটু সহযোগিতা পেলে এটি আরোও পূর্ণাঙ্গ রুপে প্রকাশ হবে ইনশাআল্লাহ। আমাদের প্রচেষ্টা শুধু আপনাদের কাছে শুদ্ধ ইলম ও আমলের কথাগুলো আপনাদের কাছে পৌঁছে দেয়া। কারন "প্রত্যেকটি বিদ'আত ই ভ্রষ্টতা, আর ভ্রষ্টতার পরিনাম জাহান্নাম " আমাদের পূর্বপুরুষদের অনেক আমই এক্ষেত্রে অকার্য
••• ভাস্কর্য নির্মাণ বৈধ কিনা তাঁর একটি চূড়ান্ত সমাধান •••
*** ভাস্কর্য নির্মাণের পক্ষের লোকেরা সূরা সাবা’র একটি আয়াত পেশ করত: এটাকে হালাল ও বৈধ ফতওয়া দেয়ার একটি চরম অপব্যাখ্যা করেছেন । এটা তাঁদের অজ্ঞতা, জাহালাত ও ইল্মি দৈন্যতা প্রমাণ করে । আর তাই অনিবার্য প্রয়োজনে জাতির সামনে বিষয়টি তুলে ধরতে বাধ্য হলাম ।
** আল্লাহপাক বলেছেন
يعملون له ما يشاء من محاريب و تماثيل و جفان كالجواب و قدور راسيات
“ জ্বীনেরা সাইয়্যিদুনা সোলাইমান আ:’র ইচ্ছা অনুযায়ী দূর্গ, ভাস্কর্য , হাউস সদৃশ বৃহৎ আকারের পাত্র এবং চুল্লির উপর স্হাপিত বিশাল আকারের ডেগ নির্মাণ করতো ।”
সূরা সাবা ১৩
*** আয়াতের মধ্যে দেখা যাচ্ছে বাহ্যত: ভাস্কর্য নির্মাণ করা বৈধ ! এবার আসুন বিশ্লেষণে যাই .....
*** পবিত্র কুরআনে মূর্তি ও ভাস্কর্য সমার্থবোধক তিনটি শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে । বিগত পোস্টে তা’ উল্লেখ করেছিলাম ।
*** আসনাম ( اصنام ) কাঠ/ স্বর্ণ / রৌপ্য ইত্যাদি দ্বারা নির্মিত মূর্তি । أوثان হলো পাথর দ্বারা তৈরী মূর্তি । তামাছীল ( تماثيل ) তিমছাল শব্দের বহুবচন । প্রাণী / অপ্রাণী উভয় শ্রেণীর ভাস্কর্য বা মূর্তিকে বলা হয় । صنم ও وثن দুটোই তামাছীলের অংশ । তামাছীল ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে । আরবী সাহিত্য ও অভিধান দেখে নিতে পারেন ।
*** পবিত্র কুরআন থেকে সুস্পস্টভাবে প্রমাণিত হয় যে, তামাছীল শব্দ থেকে মানুষ/ পশু- পাখী/ বৃক্ষের মূর্তি বা ভাস্কর্য অর্থ নেয়া হয়েছে । যেমন আল্লাহপাক বলেন
اذ قال لأبيه و قومه ما هذه التماثيل التي انتم لها عاكفون
“ সাইয়্যিদুনা ইব্রাহিম আ: যখন তাঁর বাবা ও সম্প্রদায়কে বললেন এসব কিসের মূর্তি , যেগুলোর পূজারী হয়ে তোমরা সবাই বসে আছো ?
সূরা আল আম্বিয়া ৫২
ওখানে মূর্তিগুলো ছিলো মানুষের । দেবতা বানিয়ে বাপ- দাদাদের অনুসরণে পূজা করা হতো । আয়াতটিতে দেবতার মূর্তি / মানুষ নামের প্রাণীর ভাস্কর্য নির্মাণ স্পস্ট শির্ক প্রমাণিত হলো । এ আয়াত দ্বারা প্রতিয়মান হয় যে, সাইয়্যিদুনা সোলাইমান আ:’র জন্য নির্মিত ভাস্কর্য কোন মানুষ বা দেবতার ছিলোনা । যেহেতু অন্য আয়াতে তামাছীল অর্থ দেবতার মূর্তি বুঝানো হয়েছে । অতএব, জ্বীনেরা পাখী/ বৃক্ষ শ্রেণীর ভাস্কর্য নির্মাণ করেছিলেন নবী’র আ: জন্য । এটাই পরিষ্কার । ওসব ভাস্কর্য মানুষ বা দেবতার ছিলোনা । কেননা নবীগণ আ: শির্ক করতেই পারেন না ।
*** এ উম্মতের জন্য পশু- পক্ষীর ভাস্কর্য নির্মাণও উচিত নয় । কেননা অন্য নবীদের আ: বিধান এখন চলেনা । এখন চলে এবং চলবে একমাত্র মহানবী সা:’র নির্দেশ কেয়ামত পর্যন্ত ।
একটি ছহীহ হাদিসে মহানবী সা: বলেছেন “ আজ যদি সাইয়্যিদুনা ঈসা আ: , মুসা আ:ও জীবিত থাকতেন, আমার অনুসরণ ছাড়া তাঁদের জন্য আর কোন বিকল্প পথ খোলা থাকতোনা ।”
اتمام الحجة ص ٥٦
مدارج السالكين
*** অতএব, কোন ধরণের ভাস্কর্য নির্মাণ বৈধ নয় । এটাই চূড়ান্ত ।
MQM Saifullah Mehruzzaman
সংকলন ও সংরক্ষণ- মোঃ আসলাম শেখ
Comments
Post a Comment