পৃষ্ঠা ১
♡♡বেগানা নারী-পুরুষের♡♡
বেগানা নারী-পুরুষের কোন নির্জন স্থানে একাকী বাস, কিছু ক্ষণের জন্যও লোক-চক্ষুর অন্তরালে, ঘরের ভিতরে, পর্দার আড়ালে একান্তে অবস্থান শরীয়তে হারাম। যেহেতু তা ব্যভিচার না হলেও ব্যভিচারের নিকটবর্তী করে, ব্যভিচারের ভূমিকা অবতারণায় সহায়িকা হয়।
♡♡ রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
সালাম বলেছেন:- ‘‘কোন পুরুষ যেন কোন নারীর সাথে একান্তে গোপনে অবস্থান না করে। কারণ, শয়তান উভয়ের কুটনী হয়।’’
[তিরমিযী, মিশকাতুল মাসাবীহ হাদিস নং :- ৩১১৮ ]
এ ব্যাপারে সমাজে অধিক শৈথিল্য পরিলক্ষিত হয় দেওর-ভাবী ও শালী-বুনাই-এর ক্ষেত্রে। অথচ এদের মাঝেই বিপর্যয় ঘটে অধিক। কারণ ‘পর চোরকে পার আছে, ঘর চোরকে পার নাই।’
♡♡ রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি সালাম বলেছেন: -
মহিলাদের পক্ষে তাদের দেওরকে মৃত্যুর সাথে তুলনা করেছেন।’’
[সহি বুখারি,সহি মুসলিম, মিশকাতুল মাসাবীহ হাদিস নং :- ৩১০২ ]
অতএব দেওরের সাথে মায়ের বাড়ি, ডাক্তারখানা, অনুরূপ বুনাই-এর সাথে বোনের বাড়ি, ডাক্তারখানা বা কোন বিলাস-বিহারে যাওয়া-আসা এক মারাত্মক বিস্ফোরক।
☆☆☆তদনুরূপ তাদের সাথে কোন কামরা বা স্থানে নির্জনতা অবলম্বন, বাড়ির দাসী বা দাসের সাথে গৃহকর্তা বা কর্ত্রী অথবা তাদের ছেলে-মেয়ের সাথে নিভৃতবাস, বাগদত্ত বরকনের একান্তে আলাপ বা গমন, বন্ধু-বান্ধবীর একত্রে নির্জনবাস, লিফ্টে কোন বেগানা যুবক-যুবতীর একান্তে উঠা-নামা, ডাক্তার ও নার্সের একান্তে চেম্বারে অবস্থান, টিউটর ও ছাত্রীর একান্তে নির্জনবাস ও পড়াশোনা, স্বামীর অবর্তমানে কোন বেগানা আত্মীয় বা বন্ধুর সাথে নির্জনবাস, ট্যাক্সি ড্রাইভারের সাথে বা রিক্সায় রিক্সাচালকের সাথে নির্জনে গমন, পীর ও মহিলা মুরীদের একান্তে বায়াত ও তা’লীম প্রভৃতি একই পর্যায়ের; যাদের মাঝে শয়তান কুট্নী সেজে অবৈধ বাসনা ও কামনা জাগ্রত করে কোন পাপ সংঘটিত করতে চেষ্টা করে।
[সালেহ আল ফাউযান - ১৬৭~১৬৮]☆☆☆
বারুদের নিকট আগুন রাখা হলে বিস্ফোরণ তো হতেই পারে। যেহেতু মানুষের মন বড় মন্দপ্রবণ এবং দুর্নিবার কামনা ও বাসনা মানুষকে অন্ধ ও বধির করে তোলে। তা ছাড়া নারীর মাঝে রয়েছে মনোরম কমনীয়তা, মোহনীয়তা এবং চপলতা। আর শয়তান তো মানুষকে অসৎ কাজে ফাঁসিয়ে দিয়ে আনন্দবোধ করে থাকে।
অনুরূপ কোন বেগানা মহিলার সাথে নির্জনে নামায পড়াও বৈধ নয়।
[ জামিউ আহকামিন নিসা ১/৩৬০ ]
তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর নিকট নিজের সন্তান দেখতে গিয়ে বা কোন কাজে গিয়ে তার সাথে নির্জনতাও অনুরূপ। কারণ, সে আর স্ত্রী নেই। আর এমন মহিলার সাথে বিপদের আশঙ্কা বেশী। শয়তান তাদেরকে তাদের পূর্বের স্মৃতিচারণ করে ফাঁসিয়ে দিতে পারে।
[মাজাল্লাতুল বহুসিল ইসলামিয়্যাহ ২৮/২৭০ ]
☆☆☆ বিবাহর কথা হয়েছে বা ঠিক হয়ে আছে অথবা আন্টি পড়ানো হয়েছে তাদের সাথে সরাসরি বা ফোনে কথা বলা ইসলামে জাহেজ নাই । এবং কি বিবাহের সামান্য আগেও কথা বার্তা বা ফোনে কথা বলা ইসলামে জাহেজ নাই । যদি পিতা ও মাতা কথা বলার জন্য অনুমতি দেন বা কথা বলার সুযোগ করে দেন তাহলেও কথা বলা ইসলামে জাহেজ নাই ।আর এর জন্য সন্তান এবং পিতা ও মাতা সব পক্ষই গুনা গার হবে।☆☆☆
Comments
Post a Comment