Posts

Showing posts from May, 2021

সালাতে কোথায় দৃষ্টি থাকবে? এবং চোখ বন্ধ করে সালাত আদায়ের বিধান(ইসলামি জিজ্ঞাসা)

Image
▬▬▬🔸🔹🔸▬▬▬ প্রশ্ন: ক. সালাতে কিয়াম, রুকু, তাশাহুদের বৈঠক ইত্যাদিতে দৃষ্টি কোথায় থাকবে? খ. চোখ বন্ধ করে নামায পড়া কি জায়েজ আছে? উত্তর: নিম্নে উক্ত দুটি প্রশ্নের উত্তর দেয়া হল: 🌀 ক. সালাতে দৃষ্টি কোথায় থাকবে? 🔹 সালাতে কেবল তাশাহুদের বৈঠক ছাড়া অন্য সকল অবস্থায় সেজদার স্থানে দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখা সুন্নত। কেবল তাশাহুদের বৈঠকে দৃষ্টি থাকবে ডান হাতের শাহাদাত (তর্জনী) অঙ্গুলীর দিকে। নিম্নে এ মর্মে বর্ণিত হাদিসগুলো পেশ করা হল: ▪ আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, إنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه و سلم كانَ إِذَا صَلَّى، طَأْطَأَ رَأْسَهُ وَرَمَى بِبَصَرِهِ نَحْوَ الأَرْضِ “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন সালাতে দাঁড়াতেন, তখন মাথাটা নিচু করে ঝুঁকিয়ে রাখতেন এবং দৃষ্টি নিক্ষেপ করতেন জমিনের দিকে”। [মুসতাদরাক হাকেম, হাদিস নং ১/৪৭৯। তিনি বলেন, হাদিসটি শাইখাইনের শর্ত অনুযায়ী বিশুদ্ধ। আল্লামা আলবানী রহ. হাদিসটির বিশুদ্ধ হওয়ার বিষয়ে সহমত পোষণ করেন। পৃ: ৮৯।] ▪অপর এক হাদিসে বর্ণিত, دَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْكَعْبَةَ مَا خَلَفَ بَصَرُهُ مَوْضِعَ سُجُودِهِ حَ...

ইমাম মাহাদীর আহমন ও বিশ্ব জয়ে ইসলামি শাসনতন্ত্র কায়েম- ইসলামি জিজ্ঞাসা

Image
চুড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করুন। ************************ আমাদের সবার আশা ইমাম মাহদির দলে যোগ দেওয়ার কিন্তু ইমাম মাহদির দলে যোগ দেওয়া যত সহজ হবে তার চেয়ে হাজারগুন কঠিন হবে স্বপ্নের নায়ক ইমাম মাহদিকে চেনা। হাদিসে আছে খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দল হবে ইমাম মাহদির প্রধান সেনাবাহিনী। আমরা যদি খোরাসানের কালো পতাকাধারী দলকে না চিনি তাহলে ইমাম মাহদির দলে যোগ দিব কিভাবে? আসুন সহীহ হাদিস দ্বারা চিনে নিই বরকতময় কালো পতাকাবাহী দল কারা!!! হযরত ছওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যখন তোমরা দেখবে, কালো পতাকাগুলো খোরাসানের দিক থেকে এসেছে, তখন তাদের সাথে যুক্ত হয়ে যেও। কেননা, তাদেরই মাঝে আল্লাহর খলীফা মাহদি থাকবে”। (মুসনাদে আহমাদ, খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ২৭৭; কানজুল উম্মাল, খণ্ড ১৪, পৃষ্ঠা ২৪৬; মিশকাত শরীফ, কেয়ামতের আলামত অধ্যায়) এই হাদিসটি ইমাম তিরমিযী রহঃ, ইমাম আহমদ রহঃ, এবং ইবনে মাযাহ রহঃ বর্ণনা করেছেন। ১) আল্লামা বুসরী রহঃ বলেন, এটি সহীহ সনদ এবং বর্ণনাকারী নির্ভযোগ্য। ২) আল্লামা নাসিরুদ্দীন আলবানী রহঃ বলেন, এই হাদিসটির অর্থ...

আল আকসা পুণ্যভূমি - প্রবাস কবি

Image
মনযে আমার ছুটে যেতে চায় আল-আকসার ও পানে, যেথায় আমরা মুসলিম ভাইরা লড়ছে মনে প্রানে। মুসলিম উম্মাহর প্রথম কিবলা, পবিত্র তার মাটি, সেথায় যারা বিলোচ্ছে প্রান, তারাই তো ভাই খাটি। রক্ষা করতে মসজিদ মোদের অকাতরে খাচ্ছে মার, তরবারির শানের চেয়েও ঈমান তাদের অধিক ধার! মারছে মোদের লাখোলাখো,পেয়ে পশ্চিমা আস্কারা, মিডিয়া তাদের পোষা গোলাম, সত্য লুকায় যাচ্ছে তারা। ইহুদি নাসার একজোট আজ, করতেছে পায়তারা, পাতছে ফাদঁ সব নতুন নতুন, করতে ঈমান হারা। রোজা নামাজ মোনাজাতেই যদি খাটি মুসলিম হয়! রাসুল কেনো যুদ্ধ করে করলো সারা ভূবণ জয়? (সাঃ) জেরুজালেম পুণ্যভূমি, ইতিহাসের কথা! কতোশতো স্মৃতি সেথায় ইট-পাথরে গাথা। অগণিত নবী-রাসুল দিলো মাবুদ তাদের তরেই, জাতি তারা বড্ড খারাপ, বোধ হলোনা রইলো ঘোরেই। খোদার বিচার বড়োই কঠিন , একদিন তারা বুঝবে ঠিক, মাফ পাবেনা কেদেও সেদিন, ছুটবে শুধু দিক বেদিক। রাসুল মোদের মিরাজে গেলো, পা দিয়ে সেই মাটিতে, সোনার চেয়ে মাটি তাহার বহু গুণে খাটি যে! আদম থেকে সুলাইমান কিংবা ঈসা নবী এলো!(pbut) বেঈমান এ ইহুদিরা তবুওনা সুপথ পেলো। শেষে এসে কব্জা করলো যারা দিলো আশ্রয়, পরকালের ঈমান নেই, ...

কোনো কিছুকে(পাখি,পেচা,বৃষ্টি,সূর্যগ্রহণ) কুলক্ষণ বা সুলক্ষণ ভাবা শির্ক- ইসলামি জিজ্ঞাসা

Image
কোনো সৃষ্টিকে অশুভ মনে করা শির্ক (التطير- তিয়ারহ) বিভিন্ন পাখি, বিভিন্ন নাম, ভিন্ন শব্দ, বিভিন্ন স্থান, বিভিন্ন লোক এবং অন্যান্য সৃষ্টিকে কুলক্ষণ মনে করাকে التطير বলা হয়। الطيرة (তিয়ারাহ) শব্দের ‘তোয়া’ বর্ণে যের ও ‘ইয়া’তে পেশ দিয়ে পড়তে হবে। তবে ‘ইয়া’ বর্ণে সাকীন দিয়েও পড়া যায়। এটি تطير طيرة শব্দ থেকে ইসমে মাসদার। জাহেলী যুগের লোকেরা سوانح এবং بوارح তথা পাখি, হরিণ এবং অন্যান্য জীব-জন্তুর চলাচলকে মঙ্গল-অমঙ্গলের লক্ষণ মনে করত। এ সমস্ত বস্ত্তকে অমঙ্গলকর মনে করার কারণে এগুলো তাদেরকে গন্তব্যস্থলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা হতে রুখে দিত। ইসলামী শরীয়ত এ খারাপ আকীদাহকে অস্বীকার করেছে এবং এর কঠোর প্রতিবাদ করেছে। ইসলাম সুস্পষ্ট ঘোষণা করেছে যে, কল্যাণ অর্জনে কিংবা অকল্যাণ দূর করণে এগুলোর কোনো প্রভাব নেই। ইমাম মাদায়েনী (রঃ) বলেনঃ আমি রুবা ইবনুল আজ্জাজকে জিজ্ঞেস করলামঃ سانح কাকে বলে? তিনি জবাবে বললেনঃ যে (পাখি বা অন্য কোনো জন্তু) তোমাকে পিছে ফেলে ডান দিকে অতিক্রম করে, তা হচ্ছে ‘সানিহ’। আমি আরও জিজ্ঞাসা করলামঃ بارح কাকে বলে? তিনি জবাবে বললেনঃ যে পাখি বা অন্য কোনো প্রাণী তোমাকে পিছে রেখে বাম দিকে অতিক্রম...

মাজহাবের আদ্যপ্রান্ত!! এবং কুরআন ও সুন্নাহভিত্তিক ব্যখ্যা - ইসলামি জিজ্ঞাসা

Image
ইসলামি জিজ্ঞাসা   মাজহাবের আদ্যপ্রান্ত!! এই সম্পূর্ণ পোষ্টটি মনযোগ দিয়ে পড়লে যেকোনো অন্ধ মাজহাবী মাজহাব বাদ দিয়ে কুরআন ও সহিহ হাদীসের আলোকে চলবে, ইনশাআল্লাহ। আশা করি সবাই পোষ্টটি মনযোগ দিয়ে পড়বেন। যেহেতু পোষ্টটি দেখেছেন তাই প্লীজ পুরো পোষ্টটি মনযোগ দিয়ে না পড়ে যাবেননা। আর হ্যাঁ, সম্পূর্ণ পোষ্ট না পড়ে কেউ কমেন্ট করবেননা। মাজহাব একটি আরবি শব্দ এর বাংলা অর্থ হলো মত বা কারো দেখানো পথ বা পদ্ধতি। নবী কারিম (সঃ) বেঁচে থাকাকালীন মাজহাবের উৎপত্তি হয়নি এবং রাসুল (সাঃ) বেঁচে থাকায় মাজহাবের প্রয়োজনও হয়নি। নবী কারিম (সাঃ) এর মৃত্যু হবার পর প্রায় ৩৫০ এর বেশি বছর পর মাজহাবের উৎপত্তি। ইসলাম ধর্মের চার ইমাম; ইমাম আবু হানিফা (রঃ), ইমাম শাফেয়ী (রঃ), ইমাম আহমাদ হাম্বলি (রঃ), ইমাম মালিকী (রঃ) এর মাধ্যমে মাজহাবের উৎপত্তি ঘটে। এখন মূল কথায় আসি। নিঃসন্দেহে আমাদের আল্লাহ এক, রাসূল (সঃ) একজন, এবং রাসূলে কারিম (সঃ) এর সালাত সারাজীবন একরকম ছিল । উনি সকালে একরকম, বিকালে আরেকরকম, রাত্রে আরেকরকম, কিংবা ভোররাত্রে ভিন্ন রকম স্টাইলে সালাত আদায় করেন নি । রাসূলে কারিম (সঃ) এর সালাত ছিল সব সময় একরকম । তাহলে রাসুল (সঃ) এ...

ফেসবুকে একটি মারাত্মক ফেতনার নাম হলো “দ্বীনি বোন।”- ইসলামি জিজ্ঞাসা

Image
ইসলামি জিজ্ঞাসা  ফেসবুকে আরেকটি মারাত্মক ফেতনার নাম হলো “দ্বীনি বোন।” শুরুটা মোটামুটি এরকমই হয় — (প্রথম দিন) “ভাইয়া আপনার লেখাগুলো আমার ভীষণ, ভীষণ ভালো লাগে!” “জাযাকাল্লাহু খাইরান বোন।” (দ্বিতীয় দিন) “আপনি কিসে পড়েন ভাইয়া?” “..........পড়ি। আপনি?” “..........” এরপর ধীরে ধীরে নানান কথা, নানান রঙ, নানা ঢঙ, মতবিনিময়, এলেম-কালামের সাথে একান্ত আলাপন! (একমাস পর...) পিক দেওয়া নেওয়া চলছে...! [ এভাবেই এক গুনাহ আরেক গুনাহকে টেনে আনে ] “মাশাআল্লাহ! তুমি দেখতে এত্ত কিউট! সত্যি বলছি, জান্নাতের হুরপরীরাও তোমায় দেখলে লজ্জায় মুখ লুকাবে! আল্লাহ পাক কতো সুন্দর করেই না বানিয়েছেন! এজন্যই তো আল্লাহ পাক বলেন— (কুরআনের আয়াত; রেফারেন্সসহ)” “তুমিও তো কম সুন্দর না! কি নূরানী চেহারা! তোমার চেহারা থেকে নূরের আলোটা যেন ঠিকরে ঠিকরে আমার চোখে এসে পড়তেছে। ইচ্ছে করছে দাঁড়িগুলো ধরি!” “জানো, একমাস আগে আরও লম্বা ছিলো দাঁড়িগুলো আমার। তখনকার পিক দেখলে তোমার হয়তো আরও ভালো লাগতো। সমস্যা হলো তখনকার পিক নেই। তখন তো আর ছবি-টবি তুলতাম না তেমন!” তখন শয়তানও— “লাগ ভেলকি লাগ, চোখে মুখে লাগ! চ্যাটিং থেকে ডেটিং এর দিকে যাক, পার্কের এক...

ফিতরা কি? সহীহ্ হাদিসের আলোকে তা কি দিয়ে দেয়া যাবে,এবং কখন কোথায় কাদেরকে দেয়া যাবে। ইসলামি জিজ্ঞাসা

Image
❒ফিতরা প্রদানের সময়সীমা ও বণ্টন পদ্ধতিঃ-   আলহামদুালল্লাহ, ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রসূলিল্লাহ, আম্মা বাদঃ ঈদের স্বলাতের পূর্বে ফিতরা প্রদান করা যেমন ইসলামের একটি সুন্দর বিধান, তেমন তা সঠিক সময়ে ও সঠিক নিয়মে বণ্টন করাও গুরুত্বপূর্ণ বিধান। কিন্তু দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফিতরা বণ্টনের নিয়ম ভিন্ন ভিন্ন লক্ষ্য করা যায়। তন্মধ্যে একটি বহুল প্রচলিত নিয়ম হচ্ছে: লোকেরা তাদের ফিতরা মসজিদের ইমাম কিংবা গ্রামের সর্দারের কাছে ঈদের স্বলাতের পূর্বে আর অনেকে স্বলাতের পরে জমা করে দেয়। ফিতরা দাতারা ধান, গম, চাল এবং অনেকে টাকা দ্বারা ফিতরা দিয়ে থাকেন। অতঃপর ইমাম কিংবা সর্দার সাহেব কিছু দিন পর সেই জমা কৃত ফিতরা বিক্রয় করে দেন। তার পর তিনি সেই মূল্য অর্থাৎ টাকা-পয়সা বিতরণ শুরু করেন। ফিতরা যারা নিতে আসেন তাদের মধ্যে ফকীর-মিসকিন, মাদরাসার ছাত্র এবং ইসলামী প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলিও থাকে। এরা অনেকে কাছাকাছি অঞ্চলের হয় আর অনেকে দূরেরও হয়। সাধারণত: এই পদ্ধতিতেই বেশির ভাগ স্থানে ফিতরা বণ্টন করা হয়ে থাক। কোথাও একটু ব্যতিক্রম থাকলে সেটা অবশ্য আলাদা কথা। এই নিয়মকে কেন্দ্র করে সুন্নতের অনুসারী ভা...

Popular posts from this blog

আল্লাহকে ভয় করা সদাসর্বদা সত্য সঠিক কথা বলাও গুনাহ মাফের এক অন্যতম মাধ্যমঃ-Habibur Rahman

জুব্বা, পাঞ্জাবী, গোল জামা, আলখাল্লা, পাগড়ি এগুলো কি সুন্নতি পোশাক?- আসলাম শেখ(সংকলন)

সালাম দেয়া, সালামের গুরুত্ব ও এর প্রসার -Habibur Rahman