ফিতরা কি? সহীহ্ হাদিসের আলোকে তা কি দিয়ে দেয়া যাবে,এবং কখন কোথায় কাদেরকে দেয়া যাবে। ইসলামি জিজ্ঞাসা

❒ফিতরা প্রদানের সময়সীমা ও বণ্টন পদ্ধতিঃ- 


 আলহামদুালল্লাহ, ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রসূলিল্লাহ, আম্মা বাদঃ ঈদের স্বলাতের পূর্বে ফিতরা প্রদান করা যেমন ইসলামের একটি সুন্দর বিধান, তেমন তা সঠিক সময়ে ও সঠিক নিয়মে বণ্টন করাও গুরুত্বপূর্ণ বিধান। কিন্তু দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফিতরা বণ্টনের নিয়ম ভিন্ন ভিন্ন লক্ষ্য করা যায়। তন্মধ্যে একটি বহুল প্রচলিত নিয়ম হচ্ছে: লোকেরা তাদের ফিতরা মসজিদের ইমাম কিংবা গ্রামের সর্দারের কাছে ঈদের স্বলাতের পূর্বে আর অনেকে স্বলাতের পরে জমা করে দেয়। ফিতরা দাতারা ধান, গম, চাল এবং অনেকে টাকা দ্বারা ফিতরা দিয়ে থাকেন। অতঃপর ইমাম কিংবা সর্দার সাহেব কিছু দিন পর সেই জমা কৃত ফিতরা বিক্রয় করে দেন। তার পর তিনি সেই মূল্য অর্থাৎ টাকা-পয়সা বিতরণ শুরু করেন। ফিতরা যারা নিতে আসেন তাদের মধ্যে ফকীর-মিসকিন, মাদরাসার ছাত্র এবং ইসলামী প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলিও থাকে। এরা অনেকে কাছাকাছি অঞ্চলের হয় আর অনেকে দূরেরও হয়। সাধারণত: এই পদ্ধতিতেই বেশির ভাগ স্থানে ফিতরা বণ্টন করা হয়ে থাক। কোথাও একটু ব্যতিক্রম থাকলে সেটা অবশ্য আলাদা কথা। এই নিয়মকে কেন্দ্র করে সুন্নতের অনুসারী ভাইদের কয়েকটি বিষয় জানা একান্ত প্রয়োজন: 📌 ক- কি কি জিনিস দ্বারা এবং কত পরিমাণ ফিতরা দেওয়া সুন্নত? খ- ফিতরা আদায়ের সময়সীমা কি ? গ-নিজের ফিতরা নিজে বণ্টন করা উত্তম না ইমাম বা সর্দার দ্বারা বিতরণ করা উত্তম? ঘ- ইমাম বা সর্দার সাহেব ঈদের পরে ফিতরার দ্রব্যাদি বিক্রয় করা পর্যন্ত যে কয়েক দিন দেরী করেন, তা করা কি ঠিক? ঙ- ফিতরা পাওয়ার যোগ্য কারা কারা ? বা ফিতরার খাত কি ? 📌 ক) কি কি জিনিস দ্বারা এবং কত পরিমাণ ফিতরা দেওয়া সুন্নত? উত্তরঃ সহিহ হাদীসে স্পষ্ট বর্ণিত হয়েছে যার, ফল কথা হল: খেজুর, যব, কিশমিশ, পনীর কিংবা প্রধান খাদ্য দ্রব্য দ্বারা ফিতরা দেওয়া সুন্নত, মূল্য দ্বারা নয়। আর এক জন ব্যক্তিকে এক সা’ ফিতরা দিতে হবে, যার পরিমাণ সাধারণ মানুষের চার পূর্ণ অঞ্জলি সমান। [ফাতাওয়া মাসায়েল, মাওলানা কাফী, পৃঃ ১৭২-১৭৩] কেজির ওজনে তা আড়াই কিলোর কম নয়। ইবনু উমার (র) হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন: ‘‘ আল্লহর রাসূল যাকাতুল ফিতর স্বরূপ এক ’সা কিংবা এক ’সা যব ফরয করেছেন মুসলিম দাস, স্বাধীন ব্যক্তি, পুরুষ ও নারী এবং ছোট ও বড়র প্রতি। আর তা লোকদের নামাযে বের হওয়ার পূর্বে আদায় করে দিতে আদেশ করেছেন”। [ সহিহ বুখারী, অধ্যায়: যাকাত হাদিস নং ১৫০৩/ সহিহ মুসলিম নং ২২৭৫] উক্ত হাদিসে দুটি খাদ্য দ্রব্যের নাম পাওয়া গেল যা, দ্বারা নবীর যুগে ফিতরা দেওয়া হত। একটি হচ্ছে খেজুর অপরটি যব। এবার নিম্নে আর একটি হাদিস পাঠ করুন- আবু সাঈদ খুদরী (র) বলেনঃ ‘‘আমরা-নবীজীর যুগে যাকাতুল ফিতর বের করতাম এক শ্বা খাদ্য দ্রব্য কিংবা এক শ্বা যব কিংবা এক শ্বা খেজুর কিংবা এক শ্বা পনীর কিংবা এক শ্বা কিশমিশ’’ [ সহিহ বুখারী- ১৫০৬ সহিহ মুসলিম-২২৮১] এই হাদিসে খেজুর ও যব ছাড়া আরও যে কয়েকটি বস্তুর নাম পাওয়া গেল তা হল : কিশমিশ, পনীর এবং খাদ্য দ্রব্য। উল্লেখ থাকে যে, নবীজী(স)এর মৃত্যুর পর মুয়াবিয়া (র) এর খেলাফত কালে অনেকে গম দ্বারা ফিতরা দিতেন। [ সহিহ বুখারী হাদীস নং ১৫০৮ সহিহ মুসলিম ২২৮১ ] 📌খ) ফিতরা আদায় করার সময়সীমা কি? উত্তরঃ ফিতরা আদায় করার উত্তম সময় হচ্ছে ঈদের দিনে ঈদের স্বলাতে বের হওয়ার পূর্বক্ষণে। অর্থাৎ ফিতরা দিয়ে স্বলাত পড়তে যাওয়া। ইবনু উমার থেকে বর্ণিত, নাবী(স) যাকাতুল ফিতর আদায় করার আদেশ দেন লোকদের স্বলাতে বের হওয়ার পূর্বে ’’। [ বুখারী, নং ১৫০৯ ] তবে ফিতরা দেয়ার সময় শুরু হয় রমযানের শেষ দিনে সূর্য ডুবার সাথে সাথে। [ সৌদি ফাতাওয়া কমিটি ৯/৩৭৩] কেউ ঈদের এক দুই দিন পূর্বেও তা দিতে পারে কারণ সাহাবিদের মধ্যে কেউ কেউ ঈদের এক দুই দিন পূর্বে তা আদায় করতেন। [ সহিহ বুখারী, নং ১৫১১] কেউ ঈদের পরে ফিতরা দিলে সেটা সাধারণ দান হিসাবে গণ্য হবে এবং সে ফিতরার বিশেষ ফজিলত ও মর্যাদা হতে বঞ্চিত থাকবে। [ আবু দাউদ,অধ্যায়: যাকাত,অনুচ্ছেদ: ফিতরের যাকাত ] 📌 গ)নিজের ফিতরা নিজে বণ্টন করা উত্তম না ইমাম বা সর্দার দ্বারা বিতরণ করা উত্তম? উত্তরঃ আসল হচ্ছে প্রত্যেক ব্যক্তি তার ফিতরা সে নিজে হকদারকে পৌঁছে দিবে। [ সৌদি ফাতাওয়া কমিটি ৯/৩৮৯] কারণ নাবী (স) এর আদেশ ‘‘ এবং তিনি তা লোকদের স্বলাতে বের হওয়ার পূর্বে আদায় করে দেয়ার আদেশ করেন’’। কথাটি প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য স্বতন্ত্র আদেশ। এরকম নয় যে, সবাই একত্রে জমা করে তা বিতরণ কর। এই কারণে সাহাবী ইবনু উমার তাঁর ফিতরা হকদারদের এক দুই দিন পূর্বে বিতরণ করে দিতেন। [ সহিহ বুখারী নং ১৫১১] * নিয়ম হবে প্রত্যেক ব্যক্তি তার গ্রাম বা শহররে আশে পাশে যাকে ফিতরা পাবার হকদার মনে করবে তাকে ফিতরা দিয়ে আসবে। বর্তমানে সৌদি আরবে অধিকাংশ লোকেই এই পদ্ধতিতে ফিতরা আদায় করে থাকে। * তবে নির্ভরযোগ্য কোন সংস্থা , সর্দার বা ইমামকেও নিজ ফিতরা বণ্টনের প্রতিনিধি করা জায়েজ। [ সৌদি ফাতাওয়া কমিটি ৯/৩৮৯] এ ক্ষেত্রে সঠিক নিয়মে ও সঠিক সময়ে বণ্টনের দায়িত্ব তাদের উপর বর্তাবে। 📌 ঘ) ইমাম বা সর্দার সাহেব ঈদের পরে ফিতরার দ্রব্যাদি বিক্রয় করা পর্যন্ত যে কয়েক দিন দেরী করেন, তা করা কি ঠিক? উত্তরঃ আমাদের মনে রাখা দরকার যে, খাদ্য দ্রব্য দ্বারাই ফিতরা দেওয়া সুন্নত; মূল্য দ্বারা নয়। যেমনটি উপরে বর্ণিত হয়েছে। খাদ্য দ্রব্য বিক্রি করে মূল্য বিতরণ করলে পরোক্ষভাবে মূল্য দ্বারাই ফিতরা দেওয়া হল যা, সুন্নতের বরখেলাফ। আর ঈদের স্বলাতের পূর্বে ফিতরা আদায় করার যে হাদীসগুলি বর্ণিত হয়েছে তার অর্থ এটা নয় যে, নামাযের পূর্বে ফিতরা জমা কর এবং পরে তা বিতরণ কর। এ বিষয়ে বর্ণিত হাদিসটি যয়ীফ, তবুও আবার পরে বলতে যদি ঈদের কয়েক দিন পরে বিতরণ করা হয়। ঈদের আগে ফকীর- মিসকিনদের হাতে খাবার পৌঁছালে না তারা আনন্দিত হবে বা খুশি করার সুযোগ পাবে। নচেৎ তাদের যেই সমস্যা অন্য দিনে থাকে তা ঈদের দিনেও থাকবে। এ বিষয়ে সৌদি স্থায়ী উলামা পরিষদের ফতোয়া : জেদ্দার জামইয়াতুল বির (জন কল্যাণ সংস্থা) নামক সংস্থা সৌদি ফাতাওয়া বোর্ডের নিকট প্রশ্ন করে যে, তারা অনেক এতীম, অভাবী ছাত্র, দুস্থ পরিবার ও বিকলাঙ্গদের আর্থিক সহযোগিতা সহ খাবার দ্রব্যাদি সরবরাহ করে থাকে। তারা কি লোকদের ফিতরা নিয়ে পরে ধীরে ধীরে বিতরণ করতে পারবে ? কিংবা টাকা-পয়সা নিয়ে তা দ্বারা পরে খাদ্য দ্রব্য কিনে তাদের মাঝে বিতরণ করতে পারবে ? উত্তরে ফাতাওয়া বোর্ড বলেনঃ সংস্থার উপর জরুরী যে, তারা যেন ফিতরার হকদারদের মাঝে তা ঈদের স্বলাতের পূর্বেই বণ্টন করে দেয়। এর বেশী দেরী করা জায়েজ নয় ; কারণ নাবী (স) ফকীরদের মাঝে তা ঈদের স্বলাতের পূর্বে পৌঁছে দিতে আদেশ করেছেন। সংস্থা ফিতরা দাতার পক্ষ হতে এক জন প্রতিনিধি স্বরূপ। সংস্থা সেই পরিমাণেই ফিতরা গ্রহণ করবে , যেই পরিমাণ সে ঈদের স্বলাতের পূর্বে বণ্টন করতে সক্ষম। আর ফিতরায় মূল্য দেওয়া জায়েজ নয়। কারণ শরীয়তী দলীলসমূহ খাদ্য বস্তু দ্বারা ফিতরা বের করাকে জরুরী করেছে। তাই শরীয়তী দলীলের পরিবর্তে কোন মানুষের কথার দিকে ভ্রুক্ষেপ করা যাবে না। আর ফিতরা দাতারা যদি সংস্থাকে অর্থ দেয় এই উদ্দেশ্যে যে সংস্থা সেই অর্থ দ্বারা খাদ্য দ্রব্য ক্রয় করে তা ফকীরদের মাঝে বিতরণ করবে, তাহলে সংস্থাকে ঈদের স্বলাতের পূর্বেই তা বাস্তবায়ন করতে হবে। সংস্থার জন্য বৈধ নয় যে, সে মূল্য বের করবে। [ ফাতাওয়া নম্বর ১৩২৩১, খণ্ড ৯/৩৭৭] 📌ঙ)ফিতরার হকদার কারা? ফিতরা পাবার যোগ্য কারা বা ফিতরার হকদার কোন কোন প্রকারের লোকেরা ? উত্তরঃ এ বিষয়ে ইসলামী বিদ্বানগণের মতভেদ রয়েছে। একদল বিদ্বান মনে করেন যারা সাধারণ সম্পদের যাকাতের হকদার তারাই ফিতরের যাকাতের (ফিতরার) হকদার। আর তারা হল আট প্রকারের লোকঃ ১- ফকীর ২- মিসকিন ৩- সাদাকা আদায়ের জন্য নিযুক্ত কর্মচারী ৪- যাদের অন্তর ইসলামের পথে আকর্ষণ করা প্রয়োজন ৫-দাস-মুক্তির জন্যে ৬- ঋণগ্রস্তদের ঋণ পরিশোধের উদ্দেশ্যে ৭- আল্লহর রাস্তায় ৮- মুসাফিরদের সাহায্যার্থে ( সূরা তওবা /৬০] এই মত পোষণকারীদের দলীল হল : ফিতরের সাদাকাকে অর্থাৎ ফিতরাকে নাবী(স) যাকাত ও সাদাকা বলেছেন তাই যেটা মালের যাকাতের খাদ হবে, সেটাই ফিতরারও হবে। সাদাকার যেই খাদ আল্লাহ সূরো তওবায় উল্লেখ করেছেন সেই খাদ সাদাকাতুল ফিতরের জন্যও হবে। অন্য এক দল বিদ্বান মনে করেন : সাদাকাতুল ফিতর বা ফিতরা কেবল ফকীর মিসকিনদের হক, অন্যদের নয়। এই মত পোষণকারীদের দলীল হল : ইবনু আব্বাস (র) এর হাদীস, তিনি বলেন : আল্লহর রসূল ফিতরের যাকাত (ফিতরা) ফরয করেছেন সিয়াম পালনকারীদের অশ্লীলতা ও বাজে কথা-বার্তা হতে পবিত্রতা এবং মিসকিনদের আহার স্বরূপ...’’ [আবু দাউদ, যাকাতুল ফিতর নং ১৬০৬/ হাদিস হাসান, ইরওয়াউল গালীল নং ৮৪৩] এই মতকে সমর্থন জানিয়েছেন ইবনু তাইমিয়্যাহ, ইবনুল ক্বাইয়্যূম, শাওকানী, আযীমাবাদী, ইবনু উসাইমীন সহ আরও অনেকে। [ দেখুন: মাজমুউ ফাতাওয়া ২৫/৭৩,যাদুল মাআদ ২/২২, নায়লুল আউত্বার ৩-৪/৬৫৭, আওনুল মা’বূদ ৫-৬/৩, শারহুল মুমতি ৬/১৮৪] এই মতটিই অধিক সহিহ কারণ : (ক) এই মতের পক্ষে দলীল বিদ্যমান আর প্রথম মতটি একটি কিয়াস (অনুমান) মাত্র। আর দলিল-প্রমাণের বিদ্যমানতায় কিয়াস বৈধ নয়। (খ) ফিতরাকে যাকাত বলা হলেও উভয়ের মধ্যে আছে অনেক পার্থক্য। ফিতরা এমন ব্যক্তির উপরও জরুরী যার বাড়িতে সামান্য কিছু খাবার আছে মাত্র। কিন্তু যাকাত কেবল তার উপর জরুরী যে বিশেষ এক ভাল অংকের অর্থের মালিক। যাকাত ধন-সম্পদের কারণে জরুরী হয় কিন্তু ফিতরা ইফতারের কারণে দিতে হয়। এসব কারণে ফিতরা ও যাকাতকে এক মনে করা অসমীচীন। বাকি থাকলো ফিতরাকে এই কারণে সাদাকা বলা হয়েছে যে, সাদাকা একটি দানের ব্যাপক শব্দ। যাকাত, ফিতরা এবং সাধারণ দানকেও সাদাকা বলা হয়। সাদাকা বললেই যে যাকাতকে বুঝায় তা নয়। যেমন নবী সল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সল্লাম বলেন : ‘‘ কুল্লু মা’রুফিন সাদাকা’’ অর্থাৎ প্রত্যেক ভাল কাজ সদকা। তবে নি:সন্দেহে প্রত্যেক ভাল কাজ যাকাত নয়। তবুও নাবী(স) সাদাকা বলেছেন। তাই ফিতরাকে সাদাকা বলার কারণে তা যাকাতের অন্তর্ভুক্ত হবে না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, যাকাতুল ফিতরের খাদসমূহের মধ্যে মাদরাসা ও মসজিদ নেই। কিন্তু মাদ্রাসার ছাত্র, শিক্ষক এবং মসজিদের ইমাম যদি ফকীর মিসকিনদের অন্তর্ভুক্ত হয়, তাহলে তারা ফিতরার হকদার হিসেবে গণ্য হবেন বরং অন্যান্য ফকীর মসিকীনদের থেকে তারা বেশী হকদার হবেন। কারণ এঁরা দ্বীনের শিক্ষা অর্জনে ও অন্যকে শিক্ষা দানে নিয়োজিত, যেই গুণটি অন্য ফকীর মিসকিনদের নেই। [ আর যা সঠিক তা আল্লাহই ভাল জানেন]
লেখক ও সংকলক : আব্দুর রকীব (মাদানী)
লিসান্স : মাদিনা বিশ্ববিদ্যালয়, সৌদি আরব
তথ্য সংগ্রহ করেছেনঃ আসলাম আলম
)

Comments

Popular posts from this blog

সালাম দেয়া, সালামের গুরুত্ব ও এর প্রসার -Habibur Rahman

মাজহাবের আদ্যপ্রান্ত!! এবং কুরআন ও সুন্নাহভিত্তিক ব্যখ্যা - ইসলামি জিজ্ঞাসা