- Get link
- X
- Other Apps
Posts
Showing posts from July, 2022
দেশের অগণিত পীর মাশায়েখদের আদতে নাচানাচি ও কাওয়ালী করার প্রয়োজনীয়তা আছে কি নেই? ডাঃ খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ
- Get link
- X
- Other Apps
খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী, ফরিদুদ্দিন গঞ্জে শকর, নিযামুদ্দীন আউলিয়া প্রমুখ উলামা ও মাশায়িখ রাহিমাহুমুল্লাহ আল্লাহর দ্বীন পালন, প্রচার ও প্রতিষ্ঠায় তাঁদের জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন। আল্লাহর দ্বীন পালন ও প্রতিষ্ঠায় কোনো লোভ বা ভয় তাঁদেরকে সামান্যতম দ্বিধাগ্রস্ত করতে পারেনি। ইলম, আমল, জিহাদ, দাওয়াত, তাহাজ্জুদ, যিকর, রোযা, নামায ইত্যাদি সকল কর্ম তাঁরা সুন্নাত পদ্ধতিতে পালন করেছেন এবং করতে শিখিয়েছেন। তবে তাঁরা বাজনা ছাড়া কাওয়ালির মজলিস করতেন, কাওয়ালী শুনে তাঁরা অনেক সময় বেহুঁশ হয়ে যেতেন, নাচানাচি করতেন বা কাপড় চোপড় ছিঁড়ে ফেলতেন। আমরা এখন জানতে পেরেছি যে, এগুলো কখনোই রাসূলুল্লাহ (صَلَّى ٱللَّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ) ও তাঁর সাহাবাগণের রীতি ছিল না। এখন আমরা করণীয় কী? রাসূলুল্লাহ (صَلَّى ٱللَّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ) ও তাঁর সাহাবীগণ আল্লাহর নৈকট্যলাভের জন্য এসব করেননি জেনেও বিভিন্ন অজুহাতে তাঁদের দোহাই দিয়ে তাঁদের এ ভুলকে আঁকড়ে ধরে থাকব? তাঁদের মতো রোযা, তাহাজ্জুদ, যিকর, দাওয়াত, জিহাদ ইত্যাদি না করতে পারলেও অন্তত তাঁদের মতো কাওয়ালি, নর্তন কুর্দন ইত্যাদি করব ? নাকি তাঁদের শিক্ষা ও সামগ্রিক কর্ম অনুসরণে নিজে...
রাসূলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রিয় সহচর হযরত মুয়াবিয়া রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুর কীর্তিমান জীবন ও অবদান
- Get link
- X
- Other Apps
আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত! আসলাম আলম বিস্তারিত পোস্টঃ কাতিবে অহি রাসূলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রিয় সহচর হযরত মুয়াবিয়া রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুর কীর্তিমান জীবন ও অবদান ১৬ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:২১ (দুবাই স্থানীয় সময়) কাতিবে অহি রাসূলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রিয় সহচর হযরত মুয়াবিয়া রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুর কীর্তিমান জীবন ও অবদান: হযরত মুয়াবিয়া রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুর জন্ম ৬০৮ খ্রিস্টাব্দে। রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হিজরতের সময় তাঁর বয়স ছিল ১৮ বছর। তাঁর বংশ পঞ্চম পুরুষে এসে রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বংশের সঙ্গে মিলে যায়। তার বংশ তালিকা নিন্মরূপ: মুয়াবিয়া বিন আবু সুফিয়ান সখর বিন হরব বিন উমাইয়া বিন আব্দুশ শামস বিন আব্দে মানাফ বিন কুতসী আল উমুরী আবু আব্দুর রহমান। তার পিতা আবু সুফিয়ান। তিনি উম্মুল মুমিনীন উম্মে...
- Get link
- X
- Other Apps
রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর দাস ছাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘আমি সবচেয়ে যাদের বেশি ভয় করি তারা হচ্ছে নেতা ও এক শ্রেণীর আলেম সমাজ। অচিরেই আমার উম্মতের কিছু লোক মূর্তিপূজা করবে। আর অতি শীঘ্রই আমার উম্মতের কিছু লোক হিন্দু বা বিজাতিদের সাথে মিশে যাবে’ (ইবনে মাজাহ হা/৩৯৫২, হাদীছ ছহীহ)। অথচ আল্লাহ তায়ালা মূর্তি পূজাকে হারাম করেছেন মূর্তি পূজারীদের অন্তর্ভুক্ত হওয়াকে নিষেধ করেছেন এবং মুশরিকদের জন্য জাহান্নামের ফয়সালা করেছেন। 💥 Al-An'am 6:106 ٱتَّبِعْ مَآ أُوحِىَ إِلَيْكَ مِن رَّبِّكَۖ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَۖ وَأَعْرِضْ عَنِ ٱلْمُشْرِكِينَ তুমি অনুসরণ কর তার, তোমার প্রতি যা ওহী প্রেরণ করা হয়েছে তোমার রবের পক্ষ থেকে। তিনি ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই। আর (মূর্তি পূজারী) মুশরিকদের থেকে তুমি বিমুখ থাক। 💥 Yunus 10:105 وَأَنْ أَقِمْ وَجْهَكَ لِلدِّينِ حَنِيفًا وَلَا تَكُونَنَّ مِنَ ٱلْمُشْرِكِينَ আর (এ নির্দেশ) যে, ‘তুমি নিজেকে দীনের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখ একনিষ্ঠভাবে এবং মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না’। 💥 At-Taubah 9:113 مَا ك...
Popular posts from this blog
আল্লাহকে ভয় করা সদাসর্বদা সত্য সঠিক কথা বলাও গুনাহ মাফের এক অন্যতম মাধ্যমঃ-Habibur Rahman
°°°আল্লাহকে ভয় করা সদাসর্বদা সত্য সঠিক কথা বলাও গুনাহ মাফের এক অন্যতম মাধ্যমঃ- মহান আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সঠিক কথা বল। তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের কাজগুলোকে শুদ্ধ করে দেবেন এবং তোমাদের পাপগুলো ক্ষমা করে দেবেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে, সে অবশ্যই এক মহাসাফল্য অর্জন করল।’’ (সুরা আল আহযাব আয়াত নং : ৭০-৭১) আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘‘হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আন, তিনি স্বীয় রহমতে তোমাদেরকে দ্বিগুণ পুরস্কার দেবেন, আর তোমাদেরকে নূর দেবেন যার সাহায্যে তোমরা চলতে পারবে এবং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন। আর আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’’ (সুরা আল হাদীদ আয়াত নং :২৮) [Habibur Rahman]
জুব্বা, পাঞ্জাবী, গোল জামা, আলখাল্লা, পাগড়ি এগুলো কি সুন্নতি পোশাক?- আসলাম শেখ(সংকলন)
◯ জুব্বা, পাঞ্জাবী, গোল জামা, আলখাল্লা, পাগড়ি এগুলো কি সুন্নতি পোশাক? এগুলো সব আঞ্চলিক পোশাক। এগুলোকে সুন্নতি পোশাক বলা ঠিক নয়। আরব বিশ্বে মুসলিম-খৃষ্টান নির্বিশেষে জুব্বা বা আলখাল্লা পরিধান করত; এখনও পরে। ভারতের পাঞ্জাব এলাকার লোকেরা হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে পাঞ্জাবী পরিধান করে। সেটা পরবর্তীতে আমাদের দেশ সহ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। পাগড়ি আরব সহ আরও কিছু এলাকার আঞ্চলিক কালচার। আবু জাহেলও পাগড়ি পরত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও পরতেন। এটা ছিলে সমাজে প্রচলিত পোশাকের অন্তর্ভুক্ত। তবে ইচ্ছে করলে মুসলিমগণও পাগড়ি পরতে পারে। এতে আলাদা ফযিলত সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত নয়। এ মর্মে কিছু হাদিস বর্ণিত হলেও সেগুলো বানোয়াট, মুনকার ও অগ্রহণযোগ্য পর্যায়ের। অনুরূপভাবে টাইও খৃষ্টানদের ‘ক্রসের চিহ্ন’ এমন কোন কথা ঐতিহাসিকভাবে বা কোন প্রমাণ দ্বারা প্রমাণিত নয়। তাই একজন মুসলিম টাইও পরতে পারে দেশে প্রচলিত পোশাক হিসেবে। ◯ কুরআনে ‘তাকওয়ার পোশাক’ বলতে কী বুঝানো হয়েছে? কুরআনে বর্ণিত, ‘লিবাসুত তাকওয়া’ বা তাকওয়ার পোশাক দ্বারা বাহ্যিক কোন পোশাক উদ্দেশ্য নয় বরং উদ্দেশ্য হল, তাকওয়া অবলম্বন করা, ঈমান ও আমলে...
সালাম দেয়া, সালামের গুরুত্ব ও এর প্রসার -Habibur Rahman
>>> সালাম মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদের গৃহ ছাড়া অন্যের গৃহে প্রবেশ করো না, অনুমতি প্রার্থনা এবং গৃহবাসীদেরকে সালাম দেয়া ব্যতীত। এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর যাতে তোমরা উপদেশ লাভ কর। (নুর ২৪: ২৭) আল্লাহ অন্যত্র বলেন, "যখন তোমাদেরকে সসম্মানে সালাম প্রদান করা হয়, তখন তোমরা তার চেয়ে উত্তমরূপে জওয়াবী সালাম দাও কিংবা (কমপক্ষে) অনুরূপভাবে দাও, নিশ্চয়ই আল্লাহ (ক্ষুদ্র-বৃহৎ) সকল বিষয়ে হিসাব গ্রহণকারী। (নিসা ৪: ৮৬) >>> আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসূল (ছাঃ) কে জিজ্ঞাসা করল, কোন ইসলাম (তার কোন কাজ) উত্তম! তিনি বললেন, (অভুক্তকে) খানা খাওয়ান এবং যাকে চিন এবং যাকে চিন না সবাইকে সালাম করা (বুখারী, মুসলিম) >>> আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, এক মুসলমানের উপর অপর মুসলমানের ছয়টি হক। যথা- যখন সে রোগে আক্রান্ত হয় তখন তার সেবা-শুশ্রুষা করবে। সে মৃত্যুবরণ করলে তার জানাযা ও দাফন-কাফনে উপস্থিত থাকবে। দাওয়াত করলে তা গ্রহণ করবে। সাক্ষাৎ হলে তাকে সালাম দেবে। হাঁচি দিলে (يرحمك الله বলে) তার জওয়াব দেবে ...