Skip to main content
নামাজের কিরাত তিলাওয়াত সম্পর্কে বর্ননা - ইসলামি জিজ্ঞাসা 

ধর্ম

নামাজে কিরাআত সম্পর্কিত বর্ণনা



 আল্লাহ তাআলার প্রেরিত অনন্য নিয়ামাত। এ নিয়ামাত নামাজে তিলাওয়াত করা আবশ্যক। তিলাওয়াত হতে হবে বিশুদ্ধ। নামাজে কিরাআত তিলাওয়াতের বিষয়াবলী জানা প্রত্যেক মুসলমানের অপরিহার্য দায়িত্ব। নামাজের কিরাআত তিলাওয়াত সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কিছু বর্ণনা তুলে ধরা হলো-১. কুরআনের অক্ষর, বাক্য, আয়াতগুলো বিশুদ্ধ উচ্চারণ হতে হবে। তিলাওয়াত ভুল হলে গোনাহগার হতে হবে।২. ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাআতে সুরা ফাতিহার সঙ্গে সুরা মিলাতে হবে। সুরা মিলানো ওয়াজিব।৩. কমপক্ষে তিন আয়াত বা তিন আয়াতের সমপরিমাণ বড় এক আয়াত তিলাওয়াত করতে হবে।৪. বিতর, সুন্নাত ও নফল নামাজের ক্ষেত্রে প্রত্যেক রাকাআতেই সুরা ফাতিহার সঙ্গে সুরা মিলাতে হবে।৫. ফজর, মাগরিব, ইশা, জুমা, বিতর নামাজ জামাআতে পড়া কালীন সময়ে, দুই ঈদের নামাজে সুরা উচ্চ স্বরে তিলাওয়াত করতে হবে।৬. ফজর, মাগরিব ও ইশার নামাজ একাকি আদায় করলেও উচ্চ স্বরে কিরাআত তিলাওয়াত করা উত্তম।৭. সুরা ফাতিহার সঙ্গে সুরা মিলানোতে প্রত্যেক রাকাআতে আলাদা আলাদা সুরা তিলাওয়াত করা উত্তম।৮. আস্তে আস্তে কিরাআতের নামাজে সুরা সমূহ মুখে উচ্চারণ করে তিলাওয়াত করতে হবে; মুখ বন্ধ করে মনে মনে পড়া যাবে না। এমনভাবে পড়তে হবে যাতে নিজ কানে আওয়াজ আসে।৯. কিরাআত শেষ হওয়ার পূর্বে তিলাওয়াত করতে করতে রুকুতে যাওয়া মাকরুহ।১০. ফরজ নামাজে ইচ্ছাকৃতভাবে কুরআনের ক্রমধারা ঠিক না রাখা মাকরুহ। ভুলে পড়লে মাকরুহ হবে না। ক্রমধারা অর্থ হচ্ছে- প্রথম রাকাআতে কুল হুয়াল্লাহু আহাদ পড়ে দ্বিতীয় রাকাআতে ইন্না আ’ত্বাইনা পড়া।১১. ফরজ নামাজে একই সুরার অনেক আয়াত একত্রে পড়া এবং দু’আয়াতের কম ছেড়ে দ্বিতীয় রাকআতে সামনে থেকে পড়া মাকরুহ। আবার কেউ যদি দুই সুরা এভাবে পড়ে যে, মাঝখানে ৩ আয়াত বিশিষ্ট একটি সুরা চেড়ে দিয়ে পরবর্তী সুরা পড়ে তবে তা মাকরুহ। যেমন- প্রথম রাকাআতে সুরা মাউন এবং দ্বিতীয় রাকাআতে সুরা কাফিরুন পড়ে মাঝে সুরা কাউছার ছেড়ে দেয় তাহলে মাকরুহ হবে। এ হুকুম ফরজ নামাজের জন্য নফলের জন্য নয়।১২. ফরজ নামাজে একই রাকাআতে সুরা মিলানোর মধ্যে এক বা একাধিক আয়াত ছেড়ে দুই সুরা পড়া মাকরুহ। নফলের ক্ষেত্রে এ হুকুম প্রযোজ্য নয়।১৩. যদি কেউ নতুন মুসলমান হয়। তবে অনতিবিলম্বে সুরা বা আয়াত শিখে নিতে হবে। শিখে নেয়ার পূর্ব পর্যন্ত নামাজে সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ ইত্যাদি তাসবিহ পড়বে। কুরআন শিক্ষা করার ব্যাপারে অলসতা করলে গোনাহগার হবে।সুতরাং আল্লাহ তাআলা নামাজের কিরাআত তিলাওয়াতে সঠিকভাবে তিলাওয়াত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট ঘেঁটে সংগ্রহীত। 

সংগ্রহ করেছেনঃ আসলাম আলম (শেখ টনি)

Comments

Popular posts from this blog

সালাম দেয়া, সালামের গুরুত্ব ও এর প্রসার -Habibur Rahman

মাজহাবের আদ্যপ্রান্ত!! এবং কুরআন ও সুন্নাহভিত্তিক ব্যখ্যা - ইসলামি জিজ্ঞাসা