- Get link
- X
- Other Apps
- Get link
- X
- Other Apps
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু। প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা। ইসলামের অত্যাবশকীয় বিষয় সম্পর্কে কুরআন ও সহীহ হাদিসের আলোকে এবং তার রেফারেন্সসহ আলোচনা সকল মুসলিম ভাইবোনদের কাছে পৌঁছে দিতে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। আপনার একটু সহযোগিতা পেলে এটি আরোও পূর্ণাঙ্গ রুপে প্রকাশ হবে ইনশাআল্লাহ। আমাদের প্রচেষ্টা শুধু আপনাদের কাছে শুদ্ধ ইলম ও আমলের কথাগুলো আপনাদের কাছে পৌঁছে দেয়া। কারন "প্রত্যেকটি বিদ'আত ই ভ্রষ্টতা, আর ভ্রষ্টতার পরিনাম জাহান্নাম " আমাদের পূর্বপুরুষদের অনেক আমই এক্ষেত্রে অকার্য
প্রশ্ন: জুমআর আগে ও পরে কত রাকআত সুন্নত নামায (কাবলাল জুমা ও বাদাল জুমা) পড়তে হয়?
------------------
উত্তর : জুমার নামায দুই রাকাআত ফরয। এর আগে দু'রাকআত, দু'রাকআত করে যত খুশি পড়া যায়। কাবলাল জুমা (জুমার আগে) চার রাকআত সুন্নত পড়তেই হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই।
🔸 যদি কেউ আগে ভাগে মসজিদে আসে তাহলে প্রথমে দু'রাকআত তাহিয়াতুল মসজিদ পড়বে তারপর সাধ্যানুযায়ী দু'রাকআত দু'রাকাআত করে সুন্নত পড়তে থাকবে আল্লাহ যতটকু তওফিক দান করেন।
__নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
مَنْ اغْتَسَلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ ، وَتَطَهَّرَ بِمَا اسْتَطَاعَ مِنْ طُهْرٍ ، ثُمَّ ادَّهَنَ أَوْ مَسَّ مِنْ طِيبٍ ، ثُمَّ رَاحَ فَلَمْ يُفَرِّقْ بَيْنَ اثْنَيْنِ ، فَصَلَّى مَا كُتِبَ لَهُ ، ثُمَّ إِذَا خَرَجَ الْإِمَامُ أَنْصَتَ ، غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجُمُعَةِ الْأُخْرَى
“যে ব্যক্তি জুমআর দিন যথা নিয়মে গোসল করে, দাঁত পরিষ্কার করে, খোশবূ থাকলে তা ব্যবহার করে, তার সবচেয়ে সুন্দর পোশাক পরে, অতঃপর মসজিদে যায়, নামাযীদের ঘাড় ডিঙিয়ে (কাতার চিরে) আগে যায় না, অতঃপর আল্লাহ যতটুকু চান ততটুকু নামায পড়ে। তারপর ইমাম উপস্থিত হলে নীরব ও নিশ্চুপ থাকে এবং নামায শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন কথা বলে না, সে ব্যক্তির এ কাজ এই জুমুআহ থেকে অপর জুমআর মধ্যবর্তীকালেকৃত পাপের কাফফারা হয়ে যায়।”
(আহমাদ, মুসনাদ, ইবনে মাজাহ্, সুনান,হাকেম, মুস্তাদরাক, জামে ৬০৬৬নং)
__ইবনে তাইমিয়া রাহ. বলেন,
وَهَذَا هُوَ الْمَأْثُورُ عَنْ الصَّحَابَةِ ، كَانُوا إذَا أَتَوْا الْمَسْجِدَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ يُصَلُّونَ مِنْ حِينِ يَدْخُلُونَ مَا تَيَسَّرَ ، فَمِنْهُمْ مَنْ يُصَلِّي عَشْرَ رَكَعَاتٍ ، وَمِنْهُمْ مَنْ يُصَلِّي اثْنَتَيْ عَشْرَةَ رَكْعَةً ، وَمِنْهُمْ مَنْ يُصَلِّي ثَمَانِ رَكَعَاتٍ ، وَمِنْهُمْ مَنْ يُصَلِّي أَقَلَّ مِنْ ذَلِكَ ".
انتهى من "مجموع الفتاوى" (24/ 189)
সাহাবীদের থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তারা জুমার দিন যখন মসজিদে যেতেন তখন মসজিদে প্রবেশের পর যথাসাধ্য সালাত পড়তেন। কেউ পড়তেন দশ রাকআত, কেউ পড়তেন বারো রাকআত, কেউ পড়তেন আট রাকআত আর কেউ পড়তেন তার চেয়ে কম।” (মাজমুউুল ফাতাওয়া ২৪/১৮৯)
🔸 ইমাম খুতবা দেয়া অবস্থায় কেউ যদি মসজিদে আসে তাহলে কেবল দু'রাকআত দুখুলুল মসজিদ/তাহিয়াতুল মসজিদ পড়বে। তারপর মনোযোগ সহকারে খুতবা শুনবে।
__রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
إذا جاء أحدكم والإمام يخطب - أو قد خرج - فليصلِّ ركعتين -متفق عليه
“তোমাদের কেউ যখন ইমাম সাহেব খুতবা দেয়ার সময় জুমার সালাতে উপস্থিত হয়, তখন সে সংক্ষেপে দু 'রাকাআত সালাত আদায় করে নেয়।”
(সহীহ বুখারী, নফল নামায অধ্যায় ও মুসলিম, জুমার নামায অধ্যায়)
🔸 জুমআর নামাযের পরে (বাদাল জুমা) কেউ যদি মসজিদেই সুন্নাত পড়তে চায় তাহলে চার রাকআত পড়ার কথা বর্ণিত হয়েছে।
عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ الْجُمُعَةَ فَلْيُصَلِّ بَعْدَهَا أَرْبَعًا رواه مسلم (881)
আর বাড়িতে গিয়ে পড়লে দুই রাকআত পড়ার কথা এসেছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমআর নামাযের পরে বাড়িতে গিয়ে দুই রাকআত সুন্নাত পড়তেন।
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ رضي الله عنهما أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم : كَانَ لاَ يُصَلِّى بَعْدَ الْجُمُعَةِ حَتَّى يَنْصَرِفَ ، فَيُصَلِّى رَكْعَتَيْنِ رواه البخاري (937) ، ومسلم (882) .
(বুখারী ও মুসলিম)
মোটকথা, উপরোক্ত হাদিসসমূহের আলোকে কেউ যদি জুমার পরে মসজিদে সুন্নত পড়তে চায় তাহলে চার রাকআত পড়বে আর বাড়িতে গিয়ে পড়তে চাইলে দু'রাকআত পড়বে। এটাই সৌদি আরবের স্থায়ী ফতোয়া কমিটির অভিমত।
আল্লাহু আলাম
✒✒✒✒
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
জুবাইল দাওয়াহ সেন্টার, সৌদি আরব।
সংকলনঃ আসলাম শেখ টনি
Comments
Post a Comment