Posts

Showing posts from December, 2020

জুমার দিনের কিছু ফযিলত,- ইসলামি জিজ্ঞাসা

Image
র দিনে তিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ করণীয় ও ফযিলত: ১)  দুয়া করা: রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন:  يَوْمُ الْجُمُعَةِ اثْنَتَا عَشْرَةَ سَاعَةً ، لَا يُوجَدُ فِيهَا عَبْدٌ مُسْلِمٌ يَسْأَلُ اللَّهَ شَيْئًا إِلَّا آتَاهُ إِيَّاهُ فَالْتَمِسُوهَا آخِرَ سَاعَةٍ بَعْدَ الْعَصْرِ “জুমার দিনে ১২টি ঘণ্টা রয়েছে। এর মধ্যে এমন একটি ঘণ্টা রয়েছে যেখানে এমন কোন মুসলিম নাই যে, সে যদি তখন আল্লাহর নিকট কিছু চায় আল্লাহ তাকে দিবেন না। আর তোমরা আসরের পরে (মাগরিবের আগের) শেষ ঘণ্টায় সে সময়টা অনুসন্ধান করো।” (সুনান আবু দাউদ, অনুচ্ছেদ: জুমার দিন দুয়া কবুল হওয়ার সময় কোনটি? শাইখ আলবানী হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন। ) ◾ উল্লেখ্য যে, অন্য একটি যঈফ বা দুর্বল হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, উক্ত সময়টা হল: حِينَ تُقَامُ الصَّلَاةُ إِلَى الِانْصِرَافِ مِنْهَا “জুমার সালাতের একামত হওয়া থেকে নিয়ে শুরু করে সালাত শেষ হওয়া পর্যন্ত।” (তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ। কিন্তু শাইখ আলবানী বলেছেন  এটি ضعيف جدا খুব দুর্বল।) ◾ অধিকাংশ সালাফের মত হল, তা আসরের পর থেকে মাগরিবের পূর্ব পর্যন্ত সময়টি। আল্লাহ ভালো জানেন। ▬▬▬▬▬▬▬ 2⃣ ২) সূ...

জুমার আগে ও পরে সালাত কতো রাকাআত?

Image
 প্রশ্ন: জুমআর আগে ও পরে কত রাকআত সুন্নত নামায (কাবলাল জুমা ও বাদাল জুমা) পড়তে হয়? ------------------ উত্তর : জুমার নামায দুই রাকাআত ফরয। এর আগে দু'রাকআত, দু'রাকআত করে যত খুশি পড়া যায়। কাবলাল জুমা (জুমার আগে) চার রাকআত সুন্নত পড়তেই হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই।  🔸 যদি কেউ আগে ভাগে মসজিদে আসে তাহলে প্রথমে দু'রাকআত তাহিয়াতুল মসজিদ পড়বে তারপর সাধ্যানুযায়ী দু'রাকআত দু'রাকাআত করে সুন্নত পড়তে থাকবে আল্লাহ যতটকু তওফিক দান করেন।   __নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,  مَنْ اغْتَسَلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ ، وَتَطَهَّرَ بِمَا اسْتَطَاعَ مِنْ طُهْرٍ ، ثُمَّ ادَّهَنَ أَوْ مَسَّ مِنْ طِيبٍ ، ثُمَّ رَاحَ فَلَمْ يُفَرِّقْ بَيْنَ اثْنَيْنِ ، فَصَلَّى مَا كُتِبَ لَهُ ، ثُمَّ إِذَا خَرَجَ الْإِمَامُ أَنْصَتَ ، غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجُمُعَةِ الْأُخْرَى  “যে ব্যক্তি জুমআর দিন যথা নিয়মে গোসল করে, দাঁত পরিষ্কার করে, খোশবূ থাকলে তা ব্যবহার করে, তার সবচেয়ে সুন্দর পোশাক পরে, অতঃপর মসজিদে যায়, নামাযীদের ঘাড় ডিঙিয়ে (কাতার চিরে) আগে যায় না, অতঃপর আল্লাহ যতটুকু চান ত...

ফেসবুকে কাদেরকে বন্ধু বানাবেন? কেনো বানাবেন? ইসলামি জিজ্ঞাসা

Image
 ফেসবুকে কাদের বন্ধু বানাবেন?  ১- যাদের থেকে শিখতে পারবেন, তাদেরকে অবশ্যই বন্ধু বানাবেন। (সুরা নাহাল ১৬/৪৩; বুখারী হা/৭৫৭;৮৯৩;১৩৮৫) ২- যাদেরকে শিখাতে পারবেন, তাদেরকে সাথে রাখাবেন। (সূরা যারিয়াত ৫১/৫৫) কারণ, হাদীস অনুসারে ‘দুনিয়া অভিশপ্ত ও তাতে যা আছে তাও অভিশপ্ত, তবে যদি আল্লাহর স্মরণ ও তার সাথে সম্পৃক্ত অথবা আলেম বা তালেবে ইলম হয়। (সুনান ইবনু মাযাহ হা/৩৩৩৬) ৩- যাদের সাথে থাকলে ঈমান বাড়বে। (সুরা তাওবা : ৯/১২৪-১২৫, সুরা আহযাব : ৩৩/২২; সুরা কাহফ :১৮/ ১৩) ৪- যাদের সাথে থাকলে আখেরাতে আপনার কাজে লাগবে বলে আপনার বিশ্বাস হবে।  (সুরা মায়েদা ৫/৫৫; সুরা ফাতাহ ৪৮/২৯; সুরা হাসর ৫৯/১০) কাদেরকে সাথে না রাখা দরকার?  ১- যারা নিজেরা আলেম নয় অথচ আলেমদের পিছনে লেগে থাকে। (সুরা বাকারাহ ২/১১-১২) ২- যারা আপনার চেয়ে অজ্ঞ, অথচ আপনাকে শিখাতে চায়। (বুখারী ১০০, মুসলিম ২৬৭৩; মিসকাত হা/২০৬) ৩- যারা আপনার সাধারণ দোষ ত্রুটিকে বড় করে দেখাতে পছন্দ করে। (সুরা হুমাযাহ ১) ৪- যারা আপনার সাথে ফিকহী বিষয় অথবা মত পার্থক্যের স্থানে আপনার জন্য ওযর দেখে না। (সুরা নাহাল ১৬/১০৬) ৫- যারা বিদ‘আতের দিকে আহ্বানকারী...

বিয়ের প্রয়োজনীয়তা ও বিয়ে করার ইসলামি ফায়দাসমূহ কি? - ইসলামি জিজ্ঞাসা

Image
বিবাহের প্রয়োজনীয়তা কি, এবং ইসলামি জীবনে দ্রুত বিয়ে করার দুনিয়াবি ও পরকালীন ফায়দা সমূহ কুরআন ও সহীহ হাদিসের আলোকে আলোচনা করা হয়েছে , মানুষ প্রকৃতিগতভাবে সমাজবদ্ধ হয়ে বাস করতে অভ্যস্ত। একাকী বাস তার সবভাব-সিদ্ধ নয়। তাই প্রয়োজন পড়ে সঙ্গিনীর ও কিছু সাথীর; যারা হবে একান্ত আপন। বিবাহ মানুষকে এমন সাথী দান করে। মানুষ সংসারে সবয়ংসম্পূর্ণ নয়। বিবাহ মানুষকে দান করে বহু আত্মীয়-সবজন, বহু সহায় ও সহচর। মানুষের প্রকৃতিতে যে যৌন-ক্ষুধা আছে, তা দূর করার বৈধ ও সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা হল বিবাহ। *** বিবাহ মানুষকে সুন্দর চরিত্র দান করে, অবৈধ দৃষ্টি থেকে চক্ষুকে সংযত রাখে, লজ্জাস্থান সংরক্ষণ করে। বিবাহের মাধ্যমে আবির্ভাব হয় মুসলিম প্রজন্মের। এতে হয় বংশ বৃদ্ধি, রসূল (সাঃ) এর উম্মত বৃদ্ধি। *** পৃথিবী আবাদ রাখার সঠিক ও সুশৃঙ্খল বৈধ ব্যবস্থা বিবাহ। বিবাহ আনে মনে শান্তি, হৃদয়ে স্থিরতা, চরিত্রে পবিত্রতা, জীবনে পরম সুখ। বংশে আনে আভিজাত্য, অনাবিলতা। নারী-পুরুষকে করে চিরপ্রেমে আবদ্ধ। দান করে এমন সুখময় দাম্পত্য, যাতে থাকে ত্যাগ ও তিতিক্ষা, শ্রদ্ধা, প্রেম, স্নেহ ও উৎসর্গ। আল্লাহ তাআলা বলেন, "" তাঁর নিদর্শনাবলীর ...

রাসুলুল্লাহ সাঃ কি নুরের তৈরি? নাকি মাটির তৈরি? ২য় খন্ড- ইসলামি জিজ্ঞাসা

Image
নবী (সাঃ) বলেনঃ তোমরা সকলেই আদমের সন্তান, আর আদম মাটি থেকে সৃষ্টি (হাদীছ ছহীহ, দ্রঃ ছহীহুল জামে’ হা/৪৫৬৮) স্বয়ং নবী বলেছেনঃ মানুষ মাটির তৈরী, ফেরেস্তা নূরের এবং জ্বিনজাত আগুনের তৈরী (মুসলিম,) “তোমার পূর্বেও জনপদ বাসীদের মধ্যে [নবী হিসেবে] প্রেরণ করেছিলাম মানুষকে, যাদের আমি ওহী প্রেরণ করেছিলাম”-সূরা ইউসুফঃ ১০৯ “তোমাদের পূর্বে আমি যত রাসুল প্রেরণ করেছি তারা সকলেই ছিলো মানুষ যারা খাদ্য গ্রহণ করতো, এবং রাস্তায় চলাফেরা করতো । বস্তুতঃ আমি তোমাদের একজনকে অন্যজনের জন্য পরীক্ষা স্বরূপ করেছি । [হে মোমেনগণ] তোমরা কি ধৈর্য্য ধারণ করবে ? নিশ্চয়ই আল্লাহ্ [সব কিছু] দেখেন”-সূরা ফুরকানঃ ২০ ২) “তোমার পূর্বে যে সব পয়গম্বর আমি প্রেরণ করেছিলাম তারাও ছিলো মানুষ, যাদের জন্য আমি ওহী মঞ্জুর করেছিলাম । যদি তোমরা তা না বুঝে থাক, তবে তাদের জিজ্ঞাসা কর যারা [আল্লাহ্র] বাণীকে ধারণ করে থাকে”-সূরা আম্বিয়াঃ ০৭ ২,৪ “তিনিই জেন্টাইল মানুষের জন্য তাদেরই মধ্য থেকে একজন রসুল পাঠিয়েছেন, যে তাদের নিকট আয়াত সমূহ আবৃত্তি করে, তাদের পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও প্রজ্ঞা । যদিও ইতিপূর্বে তারা ছিলো সুস্পষ্ট বিভ্রান্তির...

রাসুলুল্লাহ সাঃ কি নুরের তৈরি? নাকি মাটির তৈরি? ১ম খন্ড - ইসলামি জিজ্ঞাসা

Image
***রাসুল (সাঃ) মাটির তৈরি এ বিষয়ে কিছু দলিল পেশ করা হল*** মানব সৃষ্টির প্রথম মানুষ আমাদের আদি পিতা হযরত আদম (আঃ) সহ সকল মানুষ মাটি দ্বারা সৃষ্টি এ মর্মে আল্লাহ পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেনঃ- পালনকর্তা ফেরেশতাগণকে বললেন, আমি মাটির মানুষ সৃষ্টি করব (ছোয়াদ-৭১) আর আপনার পালনকর্তা যখন ফেরেশতাদেরকে বললেনঃ আমি পচা কর্দম থেকে তৈরী বিশুষ্ক ঠনঠনে মাটি দ্বারা সৃষ্টি একটি মানব জাতির পত্তন করব (হিজর-২৮) আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে মৃত্তিকা থেকে উদগত করেছেন (নূহ্-১৭) তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন পোড়া মাটির ন্যায় শুষ্ক মৃত্তিকা থেকে (আর রাহমান-১৪) আমি মানবকে পচা কর্দম থেকে তৈরী বিশুষ্ক ঠনঠনে মাটি দ্বারা সৃষ্টি করেছি (হিজর-২৬) এ মাটি থেকেই আমি তোমাদেরকে সৃজন করেছি, এতেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে দিব এবং পুনরায় এ থেকেই আমি তোমাদেরকে উত্থিত করব (সূরা ত্বো-হা: ৫৫) আমি মানুষকে মাটির সারাংশ থেকে সৃষ্টি করেছি । অতঃপর আমি তাকে শুক্রবিন্দু রূপে এক সংরক্ষিত আধারে স্থাপন করেছি । এরপর আমি শুক্রবিন্দুকে জমাট রক্তরূপে সৃষ্টি করেছি, অতঃপর জমাট রক্তকে মাংসপিন্ডে পরিণত করেছি, এরপর সেই মাংসপিন্ড থেকে অস্থি সৃষ্টি করেছি, অতঃপর অস্থি...
 _*পেশাব-পায়খানা করার পর পরিচ্ছন্নতা অর্জন: ঢিলা-কুলুপ ব্যবহার করা কি আবশ্যক?*_ ▬▬▬▬●◈●▬▬▬▬ ইসলাম আমাদেরকে জীবনের নিতান্ত গোপনীয় এবং ছোট্ট ছোট্ট বিষয় সম্পর্কেও অত্যন্ত চমৎকার নির্দেশনা দিয়েছে আল হামদুলিল্লাহ-সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহর। যা হোক, নিম্নে মানব জীবনের নিত্য প্রয়োজনীয় বিষয় পেশাব-পায়খানার পরে পরিচ্ছন্নতা অর্জনের বিষয়টি হাদিস ও ফিকদের দৃষ্টিকোন থেকে সংক্ষেপে আলোকপাত করা হল: _*♦ পরিচ্ছন্নতা অর্জন: কী কারণে এবং কোন জিনিস দ্বারা?*_ পেশাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে বায়ু ছাড়া অন্য কোনো কিছু-যেমন: পেশাব, পায়খানা, রক্ত, কৃমি, ধাতু, মযী বা এক প্রকার হালকা তরল আঠালো পদার্থ, মহিলাদের সাদা স্রাব ইত্যাদি বের হলেই পরিচ্ছন্নতা অর্জন করা অপরিহার্য (ওয়াজিব)। চাই তা পানি দ্বারা হোক বা টিস্যু পেপার, কাপড়ের টুকরা, পাথর খণ্ড, শুকনো মাটি ইত্যাদি দ্বারা হোক।  তবে কুরআন-হাদিস, দুআ, যিকির ও আল্লাহ-রাসূল নাম লেখা সম্মানযোগ্য কাগজ, হাড্ডি, গোবর, কয়লা, খাদ্যদ্রব্য ইত্যাদি বস্তুকে কুলুপ হিসেবে ব্যাবহার করা জায়েয নাই।  - এ ক্ষেত্রে ডান হাত ব্যবহার করাও সঙ্গত নয়। বরং বাম হাত ব্যবহার করতে হবে। - পান...

Popular posts from this blog

আল্লাহকে ভয় করা সদাসর্বদা সত্য সঠিক কথা বলাও গুনাহ মাফের এক অন্যতম মাধ্যমঃ-Habibur Rahman

জুব্বা, পাঞ্জাবী, গোল জামা, আলখাল্লা, পাগড়ি এগুলো কি সুন্নতি পোশাক?- আসলাম শেখ(সংকলন)

সালাম দেয়া, সালামের গুরুত্ব ও এর প্রসার -Habibur Rahman