Posts

Showing posts from April, 2021
Image
নামাজের কিরাত তিলাওয়াত সম্পর্কে বর্ননা - ইসলামি জিজ্ঞাসা  ধর্ম নামাজে কিরাআত সম্পর্কিত বর্ণনা  আল্লাহ তাআলার প্রেরিত অনন্য নিয়ামাত। এ নিয়ামাত নামাজে তিলাওয়াত করা আবশ্যক। তিলাওয়াত হতে হবে বিশুদ্ধ। নামাজে কিরাআত তিলাওয়াতের বিষয়াবলী জানা প্রত্যেক মুসলমানের অপরিহার্য দায়িত্ব। নামাজের কিরাআত তিলাওয়াত সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কিছু বর্ণনা তুলে ধরা হলো-১. কুরআনের অক্ষর, বাক্য, আয়াতগুলো বিশুদ্ধ উচ্চারণ হতে হবে। তিলাওয়াত ভুল হলে গোনাহগার হতে হবে।২. ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাআতে সুরা ফাতিহার সঙ্গে সুরা মিলাতে হবে। সুরা মিলানো ওয়াজিব।৩. কমপক্ষে তিন আয়াত বা তিন আয়াতের সমপরিমাণ বড় এক আয়াত তিলাওয়াত করতে হবে।৪. বিতর, সুন্নাত ও নফল নামাজের ক্ষেত্রে প্রত্যেক রাকাআতেই সুরা ফাতিহার সঙ্গে সুরা মিলাতে হবে।৫. ফজর, মাগরিব, ইশা, জুমা, বিতর নামাজ জামাআতে পড়া কালীন সময়ে, দুই ঈদের নামাজে সুরা উচ্চ স্বরে তিলাওয়াত করতে হবে।৬. ফজর, মাগরিব ও ইশার নামাজ একাকি আদায় করলেও উচ্চ স্বরে কিরাআত তিলাওয়াত করা উত্তম।৭. সুরা ফাতিহার সঙ্গে সুরা মিলানোতে প্রত্যেক রাকাআতে আলাদা আলাদা সুরা তিলাওয়াত করা উত্তম।৮. আস্তে আস্তে কিরাআতের না...

পবিত্র আল কোরআনের সাংকেতিক চিহ্ন ও তার ব্যবহার -ইসলামি জিজ্ঞাসা

Image
পবিত্র আল কোরআনের সাংকেতিক চিহ্ন হজরত উসমান গণী (রাযিআল্লাহু আনহু) পবিত্র কোরআন জমা করেন। কিন্তু তখনও পবিত্র কোরআনুল কারীমে নুকতা, যের, যবর ও পেশ ছিলো না। তাই অনারবদের পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করতে কষ্ট হতো। তারপর ইসলাম আরো বিস্তৃত হয়। তখন প্রয়োজন দেখা দেয় পবিত্র কোরআনুল কারীমে নুকতা, যের, যবর, পেশ লাগানোর। যেন আরব, অনারব, সাধারণ, বিশিষ্ট্য সকলে বিশুদ্ধভাবে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করতে পারে। এ লক্ষ্যে কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। নিম্নে এর সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হলো। নুকতার সংযোজন: আরবদের তেলাওয়াতকারীরা এত বেশি অভ্যস্ত ছিলেন যে, নুকতা ছাড়া তেলাওয়াত করতে কোনো অসুবিধা হতো না। বাক্যের পূর্বাপর অবস্থা দেখে, সাদৃশ্যপূর্ণ হরফগুলোকে খুব সহজেই পৃথক করতে পারতেন। বিশেষ করে, পবিত্র কোরআনুল কারীমে বিভিন্ন জায়গায় সংশয় এজন্য তৈরি হতো না যে, এর সংরক্ষণ লেখার ওপর ছিলো না বরং ছিলো হিফজ বা মুখস্থের ওপর। তাই কোথাও সংশয় তৈরি হলে সরাসরি হাফেজদের দ্বারস্থ হয়ে সংশয় নিরসন করে নিতেন। হজরত উসমান রাযিআল্লাহু আনহু পবিত্র কোরআনের কপিগুলো বিভিন্ন এলাকায় পাঠানোর সময়, প্রতিটির সঙ্গে একজন করে কারীও পাঠিয়ে ছিলেন; যারা ঐ এ...

পুরুষের চুলের সৌন্দর্য এবং রাসুলুল্লাহ সাঃ এর প্রায় হারিয়ে যাওয়া সুন্নাহ।

Image
প্রিয় নবী সা. এর চুল যেমন ছিল! 🕳️ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে আরব পুরুষদের রীতি ছিল লম্বা চুল রাখা। রাসুল নিজেও লম্বা চুল রাখতেন। তার চুল কখনো কানের মাঝামাঝি, কানের লতি কিংবা দুই কাঁধ পর্যন্ত লম্বা থাকতো। তার চুল কাঁধ ছাড়িয়ে আরো লম্বা হত বলে জানা যায়। [১] 🕳️ কখনো এতদূর অবধি লম্বা হত যে তা বিনুনি/গুচ্ছ করে রাখতেন। তার চাচাতো বোন উম্মে হানী রা. বলেন, "(মক্কা বিজয়ের সময়) রাসুলুল্লাহ সাঃ যখন মক্কায় আগমন করলেন তখন তার চুলে চারটি গুচ্ছ বা বিনুনি ছিল" [২] 🕳️ আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম বলেন, "তার চুল যখন লম্বা হতো তখন তিনি তা চারটি গুচ্ছে বিভক্ত রাখতেন" [৩] *আরবীতে চুল জড়িয়ে বা বিনুনি করাকে "গাদীরাহ" বলে। হাদীসে "আরবায়ু গাদায়ের" চারটি গুচ্ছ ভাষাটি ব্যাবহার হয়েছে। 🕳️ ইবনু হাজার আসকালানী বলেন, "অধিকাংশ সময়ে তার চুল এরূপ কাঁধের কাছাকাছি থাকত। কখনো তা আরো লম্বা হতো এবং ঝুলন্ত গুচ্ছে পরিনত হতো। তিনি সেগুলোকে বিনুনি বানিয়ে রাখতেন" তবে কাঁধ অবধি থাকা তার স্বাভাবিকতা ছিল।[৪] 🕳️ হজ্জ বা উমরা ব্যতীত তিনি কখনো মাথার চুল মুন্ডন করেছ...

Popular posts from this blog

আল্লাহকে ভয় করা সদাসর্বদা সত্য সঠিক কথা বলাও গুনাহ মাফের এক অন্যতম মাধ্যমঃ-Habibur Rahman

জুব্বা, পাঞ্জাবী, গোল জামা, আলখাল্লা, পাগড়ি এগুলো কি সুন্নতি পোশাক?- আসলাম শেখ(সংকলন)

সালাম দেয়া, সালামের গুরুত্ব ও এর প্রসার -Habibur Rahman