- Get link
- X
- Other Apps
- Get link
- X
- Other Apps
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু। প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা। ইসলামের অত্যাবশকীয় বিষয় সম্পর্কে কুরআন ও সহীহ হাদিসের আলোকে এবং তার রেফারেন্সসহ আলোচনা সকল মুসলিম ভাইবোনদের কাছে পৌঁছে দিতে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। আপনার একটু সহযোগিতা পেলে এটি আরোও পূর্ণাঙ্গ রুপে প্রকাশ হবে ইনশাআল্লাহ। আমাদের প্রচেষ্টা শুধু আপনাদের কাছে শুদ্ধ ইলম ও আমলের কথাগুলো আপনাদের কাছে পৌঁছে দেয়া। কারন "প্রত্যেকটি বিদ'আত ই ভ্রষ্টতা, আর ভ্রষ্টতার পরিনাম জাহান্নাম " আমাদের পূর্বপুরুষদের অনেক আমই এক্ষেত্রে অকার্য
ঘরে ফরজ সালাত আদায়ের বিধান
:-* ফরজ নামাজ ঘরে পড়া বৈধ নয়। বরং তাদের জন্য ওয়াজেব হল, মসজিদে উপস্থিত হয়ে জামাআত সহকারে নামায আদায় করা। যেহেতু মহানবী (সাঃ) বলেন, *“যে ব্যক্তি আযান শোনা সত্ত্বেও, মসজিদে জামাআতে এসে নামায আদায় করে না, কোন ওজর না থাকলে সে ব্যক্তির নামায কবুল হয় না।”* (আবূ দাঊদ ৫৫১)
একদা একটি অন্ধ লোক নবী (সাঃ)এর নিকট এসে নিবেদন করল, “হে আল্লাহ্র রাসুল! আমার কোন পরিচালক নেই, যে আমাকে মসজিদ পর্যন্ত নিয়ে যাবে।” সুতরাং সে নিজে বাড়িতে নামায পড়ার জন্য আল্লাহ্র রাসুল (সাঃ) এর নিকট অনুমতি চাইল। তিনি তাকে অনুমতি দিলেন। কিন্তু যখন সে পিঠ ঘুরিয়ে রওনা দিল, তখন তিনি তাকে ডেকে বললেন, *“তুমি কি আহবান (আযান)শুনতে পাও?” সে বলল, ‘জি হ্যাঁ।’ রাসূল (সাঃ) বললেন, “ তাহলে তুমি সাড়া দাও।” (অর্থাৎ মসজিদেই এসে নামায পড়।)* (সহীহ মুসলিম)
অন্ধ ব্যক্তিকে ছাড় দেওয়া হয়নি,সাধারণ মানুষের প্রশ্নই আসে না।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, *“সেই মহান সত্তার শপথ! যার হাতে আমার জীবন, আমার ইচ্ছা হচ্ছে যে, জ্বালানী কাঠ জমা করার আদেশ দিই। তারপর নামাযের জন্য আযান দেওয়ার আদেশ দিই। তারপর 'কোন' লোককে লোকেদের ইমামতি করতে আদেশ দিই। তারপর আমি স্বয়ং সেই সব (পুরুষ) লোকদের কাছে যাই (যারা মসজিদে নামায পড়তে আসেনি)এবং তাঁদেরকে সহ তাদের ঘর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিই।”* (বুখারী,মুসলিম)
সুতরাং কতো ভয়ঙ্কর বিষয় তা আমরা এই হাদীস দ্বারা অনুমান করতে পারি।
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) বলেন, “ যাকে এ কথা আনন্দ দেয় যে, সে কাল কিয়ামতের দিন আল্লাহ্র সঙ্গে মুসলিম হয়ে সাক্ষাৎ করবে, তাঁর উচিৎ, সে যেন এই নামাযসমূহ আদায়ের প্রতি যত্ন রাখে, যেখানে তাঁর জন্য আযান দেওয়া হয় (অর্থাৎ মসজিদে)। কেননা, মহান আল্লাহ তোমাদের নবী (সাঃ) এর নিমিত্তে হিদায়াতের পন্থা নির্ধারণ করেছেন। আর নিশ্চয় এই নামাযসমূহ হিদায়েতের অন্যতম পন্থা ও উপায়। যদি তোমরা (ফরয) নামায নিজেদের ঘরেই পর, যেমন এই পিছিয়ে থাকা লোক নিজ ঘরে নামায পড়ে, তাহলে তোমরা তোমাদের নবীর তরীকা পরিহার করবে। আর (মনে রেখো) যদি তোমরা তোমাদের নবীর তরীকা পরিহার কর, তাহলে নিঃসন্দেহে তোমরা পথহারা হয়ে যাবে। আমি তোমাদের লোকেদের এই পরিস্থিতি দেখেছি যে, নামায (জামাতসহ পড়া) থেকে কেবল সেই মুনাফিক (কপট মুসলিম) পিছিয়ে থাকে, যে প্রকাশ্য মুনাফিক। *আর (দেখেছি যে, পীড়িত)ব্যক্তিকে দুজনের (কাঁধের) উপর ভর দিয়ে নিয়ে এসে (নামাযের) সারিতে দাঁড় করানো হতো।”* (মুসলিম)
*অতএব, নামাজ ঘরে না পড়ে 'জামায়াতে' পড়ার প্রতি এতো কঠোরতা, তাহলে বেনামাযী ব্যক্তির কি হতে পারে তা আজ বাদ দিলাম।*
উল্লেখ্য যে, ফরজ ছাড়া সমস্ত নফল নামাজ ঘরে পড়া উত্তম👇🏻
মহানবী (সাঃ) বলেছেন, *"নামাজের কিছু অংশ তোমরা তোমাদের ঘরসমূহে আদায় করো, আর ঘরগুলোকে কবরস্থানে পরিণত করো না"।*
(বুখারি ৪২২,মুসলিম ৭৭৭)
Comments
Post a Comment