- Get link
- X
- Other Apps
Posts
Showing posts from February, 2021
আপনার রব কে?
- Get link
- X
- Other Apps

আপনার রব কে? ============ আমাদের গ্রামে খোদা শব্দটি খুব বেশী প্রচলিত। ‘খোদায় জানে’, ‘খোদার কসম’, ‘খোদা হাফেজ’ এই কথাগুলো বহুল ব্যবহৃত হচ্ছে। এখন শুনছি খোদা বলা উচিৎ নয়। একটু বিস্তারিত জানাবেন। উত্তরঃ ==== কুরআন রব শব্দটি ৯৮০ বার উল্লেখিত হয়েছে। কবরে প্রত্যেক মানুষ প্রথম যে প্রশ্নের সম্মুখিত হবে তা হলো -‘তোমার রব কে?’ সুতরাং আসুন প্রথমেই এই শব্দ সমূহের অর্থ জেনে নেই ! ☞রবঃ রব শব্দটির অর্থ অনেক। যেমন- পথ প্রদর্শক, সৃষ্টি কর্তা, প্রতিনিধি সৃষ্টিকারী, দয়ালু ও তওবা কবুলকারী, ক্ষমাকারী, মৃত্যুর পর জীবন দানকারী, বিপদ নিয়ে পরীক্ষাকারী,শস্য উৎপন্নকারী, প্রতিদান দাতা, নির্দেশ দাতা, গোপন সংবাদ জ্ঞানসম্পন্ন, কল্যাণদাতা,নিরাপত্তা ও রিজিক সরবারাহকারী, দুয়া কবুলকারী, মানবতার হেদায়াতের জন্য নবী ও রাসুল প্রেরণকারী, বিধানদাতা,প্রশান্তিদাতা,বিজয়দাতা, জীবন ও মরনদাতা, সার্বভৌম বা সকল ক্ষমতার মালিক ইত্যাদি। . ☞আল্লাহঃ ইসলামে যে ইলাহ বা উপাস্যের কথা বলা হয়েছে তিনি একক, অদ্বিতীয়। তাঁর কোন শরীক নেই। তাঁর ইসম যাত অর্থাৎ প্রকৃত নাম আল্লাহ। আল্লাহ শব্দটি অতুলনীয়। অন্য কোন ধাতু হতে তা উদ্ভুত নয়। আল্লাহ শ...
Popular posts from this blog
সালাম দেয়া, সালামের গুরুত্ব ও এর প্রসার -Habibur Rahman
>>> সালাম মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদের গৃহ ছাড়া অন্যের গৃহে প্রবেশ করো না, অনুমতি প্রার্থনা এবং গৃহবাসীদেরকে সালাম দেয়া ব্যতীত। এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর যাতে তোমরা উপদেশ লাভ কর। (নুর ২৪: ২৭) আল্লাহ অন্যত্র বলেন, "যখন তোমাদেরকে সসম্মানে সালাম প্রদান করা হয়, তখন তোমরা তার চেয়ে উত্তমরূপে জওয়াবী সালাম দাও কিংবা (কমপক্ষে) অনুরূপভাবে দাও, নিশ্চয়ই আল্লাহ (ক্ষুদ্র-বৃহৎ) সকল বিষয়ে হিসাব গ্রহণকারী। (নিসা ৪: ৮৬) >>> আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসূল (ছাঃ) কে জিজ্ঞাসা করল, কোন ইসলাম (তার কোন কাজ) উত্তম! তিনি বললেন, (অভুক্তকে) খানা খাওয়ান এবং যাকে চিন এবং যাকে চিন না সবাইকে সালাম করা (বুখারী, মুসলিম) >>> আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, এক মুসলমানের উপর অপর মুসলমানের ছয়টি হক। যথা- যখন সে রোগে আক্রান্ত হয় তখন তার সেবা-শুশ্রুষা করবে। সে মৃত্যুবরণ করলে তার জানাযা ও দাফন-কাফনে উপস্থিত থাকবে। দাওয়াত করলে তা গ্রহণ করবে। সাক্ষাৎ হলে তাকে সালাম দেবে। হাঁচি দিলে (يرحمك الله বলে) তার জওয়াব দেবে ...
মাজহাবের আদ্যপ্রান্ত!! এবং কুরআন ও সুন্নাহভিত্তিক ব্যখ্যা - ইসলামি জিজ্ঞাসা
ইসলামি জিজ্ঞাসা মাজহাবের আদ্যপ্রান্ত!! এই সম্পূর্ণ পোষ্টটি মনযোগ দিয়ে পড়লে যেকোনো অন্ধ মাজহাবী মাজহাব বাদ দিয়ে কুরআন ও সহিহ হাদীসের আলোকে চলবে, ইনশাআল্লাহ। আশা করি সবাই পোষ্টটি মনযোগ দিয়ে পড়বেন। যেহেতু পোষ্টটি দেখেছেন তাই প্লীজ পুরো পোষ্টটি মনযোগ দিয়ে না পড়ে যাবেননা। আর হ্যাঁ, সম্পূর্ণ পোষ্ট না পড়ে কেউ কমেন্ট করবেননা। মাজহাব একটি আরবি শব্দ এর বাংলা অর্থ হলো মত বা কারো দেখানো পথ বা পদ্ধতি। নবী কারিম (সঃ) বেঁচে থাকাকালীন মাজহাবের উৎপত্তি হয়নি এবং রাসুল (সাঃ) বেঁচে থাকায় মাজহাবের প্রয়োজনও হয়নি। নবী কারিম (সাঃ) এর মৃত্যু হবার পর প্রায় ৩৫০ এর বেশি বছর পর মাজহাবের উৎপত্তি। ইসলাম ধর্মের চার ইমাম; ইমাম আবু হানিফা (রঃ), ইমাম শাফেয়ী (রঃ), ইমাম আহমাদ হাম্বলি (রঃ), ইমাম মালিকী (রঃ) এর মাধ্যমে মাজহাবের উৎপত্তি ঘটে। এখন মূল কথায় আসি। নিঃসন্দেহে আমাদের আল্লাহ এক, রাসূল (সঃ) একজন, এবং রাসূলে কারিম (সঃ) এর সালাত সারাজীবন একরকম ছিল । উনি সকালে একরকম, বিকালে আরেকরকম, রাত্রে আরেকরকম, কিংবা ভোররাত্রে ভিন্ন রকম স্টাইলে সালাত আদায় করেন নি । রাসূলে কারিম (সঃ) এর সালাত ছিল সব সময় একরকম । তাহলে রাসুল (সঃ) এ...